হায়াতের দিন ফুরোলে,br এবার ভিন্ন কিছু হোক,br বেলা ফুরাবার আগেbrbr bহায়াতের দিন ফুরোলে/bbr হায়াতের দিন ফুরিয়ে গেলে নিভে যাবে জীবনের প্রদীপ। সেই অবধারিত, অনিবার্য ক্ষণটা চলে আসার আগে, আমরা আরেকবার জীবনের পেছনে তাকাতে পারি। নতুনভাবে করতে পারি অনেক হিশেব-নিকেষ। সেই হিশেব-নিকেষের ঘটনায়, ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটা আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে, ইনশাআল্লাহ।br bএবার ভিন্ন কিছু হোক /bbr লুসাই পাহাড় বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে আসা অপরূপ নদী কর্ণফুলির অঞ্চল থেকে উঠে আসা একজন লেখক-আরিফ আজাদ। সত্যের পেছনে নিরন্তর ছুটবার অদম্য নেশা থেকে সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জীবন তাকে টেনে এনেছে লেখালেখির জগতে। সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি, কিন্তু সত্য এবং সুন্দরে তার যে সবিস্ময় মুগ্ধতা, সেই মুগ্ধতার ঘোর তাকে নিয়ে এসেছে সত্য তুলে ধরবার এমন এক দুনিয়ায় যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি মিথ্যের কুয়াশাকে মুছে দিতে চান ভোরের ঝলমলে আলো দিয়ে। আরিফ আজাদ লেখালেখির জগতে পদার্পণ করেন 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' লিখে। তার পরের ঘটনাপ্রবাহকে যদি এক শব্দে তুলে ধরতে হয়, তবে বলতে হবে অবিশ্বাস্য! বাংলা সাহিত্যে প্রথম বই দিয়ে কেকজন লেখক ইতিহাস গড়েছেন, আরিফ আজাদীনিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। যেন তিনি রূপকথার সেই বীর যিনি 'এলেন, দেখলেন আর জয় করে নিলেন'।br তবে সেখানেই থেমে যাননি তিনি। 'আরজ আলী সমীপে', 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২', 'জীবন যেখানে যেমন' আর 'নবি-জীবনের গল্প'-সহ উম্মাহর জন্য উপকারী চমৎকার সব রচনা উপহার দিয়ে সেই জায়গাটিকে তিনি পোক্ত করে চলেছেন অবিরত। তবে ২০২০ বইমেলায় প্রকাশিত 'বেলা ফুরাবার আগে' বইয়ে আরিফ আজাদ হাজির হয়েছেন একেবারেই ভিন্নভাবে। মানুষের ভেতর জীবনবোধ জাগানোর জন্য লেখক যেন সমস্ত আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন।br পাঠকনন্দিত সেই 'বেলা ফুরাবার আগে' বইয়ের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে লেখক এবার উপস্থিত হয়েছেন 'এবার ভিন্ন কিছু হোক' নিয়ে।br bবেলা ফুরাবার আগে/bbr জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মোহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে।br তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক...
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।