পুলিশ-সবসময় চ্যালেন্জিং পেশা। সজাগ থাকতে হয় প্রতিমুহূর্ত। আশঙ্কা- উদ্বেগের সাথে চ্যালেন্জ মোকাবেলার দু:সাহসও তার মধ্যে কাজ করে। সেই চ্যালেন্জ-অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের,অপরাধের বিরুদ্ধে দমনস্পৃহার, অরাজকতার বিরুদ্ধে শান্তি ফিরিয়ে আনার। আর এই সত্যটি স্বীকার করে, শপথে উদ্বীপ্ত হয়ে, পুলিশজীবনে প্রবেশ করতে হয়। এ থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো অবকাশ নেই। অনেকে সফল হন দারুণভাবে। আর এই সফলতা তাঁকে নিয়ে যায় অনেক দূর পর্যন্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনির রয়েছে ত্যাগের মহিমায় গৌরবান্বিত ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে প্রথমেই আক্রমণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স।অকস্মাৎ এই আক্রমণের মুখে দিকভ্রান্ত না হয়ে অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্যগন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসমসাহসিকতার সাথে দ্রুততম সময়ে সুসংগঠিত হয়ে হানাদার পাকিস্তান বাহিনির বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ পুলিশ থ্রী নট থ্রী রাইফেল হতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে প্রথম বুলেটটি ছুঁড়েছিলেন রাজারবাগের পবিত্র মাটি থেকে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে আত্মাহুতি দিয়ে শহীদ হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের এই অসম সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশ পুলিশকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকারী বাহিনির মর্যাদা এবং স্বাধীনতা পদক। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ কালরাত্রির সেই জীবন উৎসর্গের কাহিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রক্তাক্ষরে লেখা থাকবে। সবার উপরে দেশ সত্য - এই ব্রত নিয়ে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ পুলিশে। অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তাদের অবদান প্রশংসনীয়। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনিতে বাংলাদেশ পুলিশের কৃতিত্ব বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।
ড. মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিনাজপুর ও পাবনা জেলা স্কুল, পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে সন্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দৈনিক সমকাল, দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন, দৈনিক চট্টগ্রাম, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, শীর্ষ অর্থনীতি সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ছড়া, ফিচার ইত্যাদি লিখে থাকেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি পারিবারিক পত্রিকা মাসিক ফুলকুঁড়ির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২৩ টি সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, চুয়াডাঙ্গার শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যান সমিতির।আজীবন সদস্য। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭০ টি। তিনি শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার,মাদার তেরেসা, ইউনেস্কো,পদক সহ এ পর্যন্ত ৭৫ টি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। পুলিশে হিসেবে চাকুরি করাকালীন তিনি রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘ পদক প্রাপ্ত হন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের জন্য নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা পরিষদ কর্তৃক তাঁকে স্বর্ণপদক এবং র্যাবে চাকুরি করাকালীন সেরা কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে আইজিপি পদক প্রদান করা হয়।