লেখালেখি আমার বরাবরই ভালো লাগে। চেষ্টা করি ভালো কিছু লিখতে। আমার লেখার প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন আমার মৃত বাবা ওবায়েদুর রহমান। তিনি ছিলেন আমার লেখালেখি করার সাহসের বাতিঘর। তিনি আমাকে সব সময়ই উৎসাহ দিতেন লেখালেখির ব্যাপারে। সেই থেকে লেখালেখির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর আজও তা চলমান রয়েছে। আমি কিছু একটা লিখতে পারলে বাবাই সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। দীর্ঘদিন যাবত লেখালেখি করলেও ইতিপূর্বে আমার কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। ‘নীরব অনুভূতি’ আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত বই। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, বই প্রকাশের ব্যাপারে যারা আমাকে প্রেরণা দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন তারা হলেন আমার শ্রদ্ধেয় আপু সিলভিয়া শরমীম ও ভাইয়া মো. মনিরুল আলম ফিরোজ (কথাসাহিত্যিক মুনীর ফিরোজ)। উনারা আমার পাশে থেকেছেন ছায়ার মতো। বই প্রকাশ করার ব্যাপারে প্রতিটি ধাপে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তাই তাদের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি কবিতা পছন্দ করি। তাই একটি কবিতার বই বের করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সাথে কিছু গল্প, উপদেশমূলক বাণী সংযোজন করেছি। জানি না, কেমন লিখেছি। ঠিকমতো লিখতে পেরেছি কিনা তার বিচার পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। আমার বাবার কারণেই আজ আমি লিখতে পেরেছি। আজ তিনি নেই। ওপার থেকে তিনি দেখছেন তার রাজকন্যা তার উৎসাহ কাজে লাগিয়েছেন লেখার মাধ্যমে। সত্যি বাবার ভালোবাসা হলো বিশুদ্ধ ও নিঃস্বার্থ। তাই তো বাবা হলেন এমনি এক রাজা যার রাজ্যে মেয়েরা আজীবন রাজকন্যা হয়ে থাকতে পারে। আমি যতটুকু পেরেছি ভালো লেখার চেষ্টা করেছি। বিচারের ভার রইল আমার প্রিয় পাঠকদের ওপর। তারাই হলো আমার লেখার বিচারক। তাদের উৎসাহ পেলে আমি অব্যশই এগিয়ে যাব। ইন্টারনেটের যুগে এসে ইদানিং মানুষের বই পড়া ও কেনা দুটোই অনেক কমে গেছে। তাই আমার প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা বই পড়ুন বই কিনুন, লেখকদের উৎসাহ ও প্রেরণা জোগান। শুধুমাত্র পাঠকদের ভালো-মন্দ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমেই তো লেখকদের লেখা স্বার্থক হতে পারে। অনেক চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি থাকার পরও বইটিতে কিছু ভুল হয়তো রয়ে গেছে। সেজন্য প্রিয় পাঠকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার লেখা এ বইটি পড়ে কোনো গল্প, কবিতা বা যেকোনো একটি লেখাও যদি কারো ভালো লাগে তাহলে আমার এ পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।