এটা হলো লুইসের গল্প, তার নিজের জবানিতে বলা। তার মরণশীল আর অমর জীবনের পথ পরিক্রমার গল্প। সে স্মরণ করে কিভাবে লেসটাট নামের এক প্রভাবশালী আর অশুভ ভ্যাম্পায়ার, ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত করেছিলো। নিউ অরলিয়ন্সের পথে সে খুঁজে পায় ক্লডিয়া নামের হারিয়ে যাওয়া সুন্দর বাচ্চাকে। নিজের ভেতরে থাকা মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা দিয়ে ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করে লুইস। ফলে ওকেও ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে ফেলে সে। নারীসুলভ আবেগ, ইচ্ছাশক্তি বন্দী হয়ে পড়ে ছোট্ট এক বাচ্চার শরীরে। লুইস আর ক্লডিয়ার মাঝে তৈরি হয় এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। লেসটাটের প্রতি ঘৃণা আর নিজেদের স্বজাতির খোঁজে, ওরা পাড়ি জমায় অর্ধেক পৃথিবী। আসে ইউরোপে, সেখানকার প্যারিস শহরে ওরা খুঁজে পায় অত্যন্ত সফল একটি থিয়েটার। যেখানে মানুষের ছদ্মবেশে ভ্যাম্পায়ারেরা নিয়ত অভিনয় করে চলেছে- ভ্যাম্পায়ারের-ই নাম ভূমিকায়! সেখানে ওরা খুঁজে পায় আরমান্দ নামের এক রাজকীয় আর চুম্বকীয় ব্যক্তিত্বের ভ্যাম্পায়ারকে, যে ওদেরকে এক ভ্যাম্পায়ার সমাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। শীঘ্রি ওরা বুঝতে পারে, ওদের মতো অন্যদের খুঁজে বের করার মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক বেশী বিপদ, যা ওদের কল্পনারও বাইরে। পাঠক, চলুন, ঘুরে আসি অতিপ্রাকৃত সেই ভ্যাম্পায়ারদের জীবন থেকে। অমরত্ব, শতাব্দী ব্যাপী পরিবর্তন, হারানোর ব্যথা, যৌনতা আর ক্ষমতার রঙ্গিন জগত থেকে। যার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে রক্ত, মৃত্যু আর