বিবর্তনগত পরিবর্তনে, জিনগত কিছু মিল যদি থেকেও যায়, তাতেই মানুষ ও বানর, চিন্তায় ও আকারে এক হয় না। কিন্তু বনর থেকে মানুষের যে আগমন, এ বোধ বানরের কোনোদিন ছিলও না আর হবে বলেও মনে হয় না। তবে মানুষের ধারণায় এ বোধ বরাবরই ছিল এবং আছে। কারণ মানুষের বোধের বায়োলজিক্যাল চিন্তায়, বিবর্তনের ক্রমবিকাশ যেমন আছে তেমনি আধ্যাত্মিকভাবে, সৃষ্টির ইচ্ছায় যে, মানুষ নিজেই-নিজ অস্তিত্বের কারণ, এ চেতনাও আছে। অবশ্য কারো আগমন তত্ত্ব, আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবুও বিবর্তন একটি চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটে। আর এ পরিবর্তনগত কারণে, মানুষের ভিতরের ধারণা ও বাইরের আচরণেরও পরিবর্তন ঘটে। মানুষের এ পরিবর্তন, জগতে বানরের অস্তিত্বসংকট এনে দেয়। যেমনি একবিংশ শতাব্দীতে 'করোনা' (এক ধরনের ভাইরাস) ত্রাস মানুষের অস্তিত্বের সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ সংকটও এনে দিতে পারে, মানুষ তাদের ভাবের জগৎ ও বাস্তব জগৎ সম্পর্কে বর্তমান চিন্তার পরিবর্তন। কেননা পরিবর্তনই চিন্তায় আনে, অতীত থেকে কুড়িয়ে আজকের বাস্তবতার। যেখানে খুলে যায় ভাবনার নতুন দুয়ার। জন্ম দেয় মানব সত্তায় নয়া দিগন্তের। কেননা সময়ই পরিবর্তনের শক্তিশালী কারণ। তবে এটাও ঠিক মানুষে বানরের কিছু বৈশিষ্ট্য প্রায়ই পরিলক্ষিত হয় (বিবৰ্তনিক জিনগত কারণে)। তবে বানরে মানুষের ভিতরের অনুশোচনাগত বোধ ফিকে এবং ক্ষণস্থায়ী। কেননা বানরে- মানুষের জিনের প্রভাব সক্রিয় নয়। কিন্তু মানুষে বানরের কিছু জিনের তাড়না বহমান থাকায় মানুষে বন্য বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মানুষ ও বানরের আগমনগত এ ঝামেলা নিত্যদিনের কলহ মাত্র।