চাইনিজ একটা প্রবাদে আছে- 'যে অপরকে ব্লেইম করে, তাকে অনেক দূর যেতে হবে। যে নিজেকে ব্লেইম করে, সে অর্ধেক পথে আছে। যে কাউকে ব্রেইম করে না, সে গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।' কাউকে দোষ দেওয়া বা অভিযোগ করা কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। অন্যের ত্রুটি খুঁজে বের করা এবং নিজের ভুল সংশোধন না করা এটা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির লক্ষণ। পরিবারের সবচেয়ে আপন মানুষ বাবা-মা'র সাথে সন্তানদের মনোমালিন্য হতেই পারে। একারণে চিরচেনা মানুষগুলোর সঙ্গে তৈরি হয়ে যায় দূরত্ব। 'কেন সে/তারা আমার ব্যাপারটি বুঝলো না?' বাদবিবাদের পর বাবা-মা কিংবা সন্তান যে কেউ-ই আমরা একথা বলে থাকি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার নিজের কোনো দোষ আছে কি না? কিংবা আপনি নিজের সেই দোষ স্বীকার করছেন কি না? দু-তিনজন ব্যক্তির মধ্যে যখন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তখন শুধু এক পক্ষকে আমরা দায়ী করে থাকি। বিষয়টা কিন্তু একেবারেই ভুল। হয়তো কারও দোষ কম বা বেশি থাকে, তবে প্রত্যেককেই নিজের অবস্থান থেকে বিষয়টি বুঝতে হবে। পরিবারগুলোতে সাধারণত সন্তান কোনো কাজে সফল হতে না পারলে, ব্লেইম দেওয়া হয় সন্তান এর ওপর। অথবা হয়তো একটি সিদ্ধান্ত খারাপ হলো, আর ওমনি সন্তান ব্লেইম দিয়ে বসে পরিবারকে, বাবা-মাকে। এর ফলে সন্তান এর সঙ্গে পরিবারের দূরত্ব তৈরি হয়। চিরচেনা বাবা-মা আর সন্তান কারণে পরিণত হন একেবারে অপরিচিত মানুষে। কীভাবে করা যায় এসব সমস্যার সমাধান, কীভাবে আমরা সন্তান হিসেবে মা-বাবার সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখবো আর কীভাবে বাবা-মা বর্তমান প্রজন্মের সন্তানদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে তাদের সাথে মিলেমিশে থাকবেন এবং তাদের সাহায্য করবেন লাইফে এগিয়ে যেতে? জানতে হলে পড়তে হবে- 'ব্লেইম গেইম' বইটি...
সাজিয়া জাহান সিনহা ; জন্ম ২রা এপ্রিল ঢাকা জেলার মগবাজারে।বাবা সিদ্দিকুর রহমান এবং মা মমতা জাহান। বাবার চাকরির সুবাধে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতে কেটেছে।বইপোকা নামে অভিহিত সবার কাছে। লেখালেখির হাতেখড়ি হয় ছোটবেলায় স্কুল থেকেই।লেখালেখির পাশাপাশি আবৃত্তি, উপস্থাপনা,ড্রইংসহ আরো শিক্ষামূলক বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।বিভিন্ন রকম নন-প্রফিটেবল সংগঠনে সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বর্তমানে Head of Content Creation হিসাবে দায়িত্বরত আছেন স্বনামধন্য Media Buying & Branding এজেন্সি Team Digital এ । এছাড়া পূর্বে Advertainment, Storyteller সহ বেশ কিছু স্বনামধন্য এজেন্সিতে Head of Content Management & Content Developer হিসেবে কাজ করে সুনামের সাথে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ লিখেছেন ব্লগার হিসেবে। লেখালেখির মধ্যে দিনরাত ডুবে থাকার এই প্যাশন নিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে চান ।