মাত্র সামান্য কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে স্বাস্থ্য, অর্থ, সম্পর্ক ইত্যাদিতে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। শুধু তাই নয়; ব্যক্তিগত, মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে? সেটি বলার পূর্বে চলুন জাপান থেকে ঘুরে আসা যাক। টেক জায়ান্ট কিংবা উন্নত জীবন—যাপনের জন্য সুপ্রসিদ্ধ এই দেশটিতে মানুষের গড় আয়ু ৮৫ বছরের বেশি। চারিত্রিক ও মানসিক ভাবনায় তাদের উন্নতির দৃষ্টান্ত কম—বেশি অনেকেই দেখেছেন। মনে আছে, ফুটবল বিশ্বকাপে ম্যাচ শেষে একদল দর্শক স্টেডিয়াম পরিষ্কার করে তবেই বের হতেন? হ্যাঁ, তারাই জাপানের নাগরিক। এবার চলুন, জাপানের এক ওপেন সিক্রেট সম্পর্কে বলা যাক। যা আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসকে পরিবর্তন করে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সফলতা এনে দেবে। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জকে অনায়াসে জয় করতে পারবেন আর তা হলো কাইজেন। ‘কাইজেন’ একটি জাপানি নাম বাচক শব্দ। যা সাধারণত ভালো পরিবর্তন বা উন্নয়ন বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। এর দর্শনও বেশ মনোমুগ্ধকর। যেকোনো পরিবর্তনের জন্য কোনো বৃহৎ পদক্ষেপ না নিয়ে ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কাইজেন সাফল্যের পথ মসৃণ করে তোলে। সেই সাথে ভালো অভ্যাস গ্রহণের পরামর্শ দেয় আর খারাপ অভ্যাস ত্যাগের অনুপ্রেরণা যোগায়, তা সে যত ছোটই হোক না কেন। বর্তমানে এই দর্শনের ক্ষেত্র ব্যাপক প্রসারিত হয়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বিস্তৃত লাভ করেছে। মূলত মার্কিন সরকারের একটি ব্যবসায়িক ধারণাকে কেন্দ্র করে এর সূচনা। কিন্তু পরবর্তীতে জাপান এই দর্শনকে ব্যক্তিগত উন্নয়নে ব্যবহার করে। যা বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। লেখক সারা হার্ভে তার জাপানের দিনগুলিতে কাইজেনের অনুশীলন শুরু করেন। যা তার ব্যক্তিগত জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেয়। জটিল ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই জীবনে কীভাবে ছোট পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, নতুনত্বকে গ্রহণ করার সঠিক কৌশল, খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা, নতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লেগে থাকা এবং আকর্ষণীয় চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মাধ্যমে জীবনকে উন্নত করার যাদুকরী মন্ত্রটি পেয়ে যাবেন সারা হার্ভের এই গ্রন্থে। যা আপনাকে পথ দেখাবে, মুগ্ধ করবে, মোহাবিষ্ট করে রাখবে।