বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। অযুদ- কোটি ভক্তি সেজদা প্রেম নিবেদন করছি ঐ মহা মহিম প্রেমময় রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি গুণে ও সৌন্দর্যে অনন্ত অসীম ও প্রেমময়। লক্ষ-কোটি দরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের আকাঁ ও মওলা, উম্মতের কান্ডারী, পারের কান্ডারী, শাফায়াতের কান্ডারী, দো-জাহানের বাদশাহ, আখেরী নবি আহমদ মুস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এবং তার আহলে বাইতের সমস্ত সদস্যদের প্রতি যাদের ওসিলায় এ কূল-কায়েনাত পেয়েছি। আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছি ছোটবেলা থেকেই সবাই কমবেশি মিলাদ কিয়াম, নাতে রাসুল ও দরূদ শরীফের সাথে সুপরিচিত। মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, খানকাহ ও মাজার শরীফ কমপ্লেক্স ইত্যাদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কমবেশি হামদ, নাত ও মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয়ে থাকে। এমনকি গ্রাম গঞ্জে ঘরে ঘরে বছরে একবার হলেও মিলাদ শরীফের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মৃত ব্যক্তির ইসালে সওয়াব, বিয়ে, মুসলমানি (খতনা), আকিকা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মিলাদ কিয়াম ও দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সুতরাং আমরা সবাই কমবেশি মিলাদ কিয়াম, হামদ, নাত ও ফাতিহার সাথে সুপরিচিত। দরূদ শরীফ, নাতে রাসুল ও মিলাদ শরীফ পাঠ হচ্ছে হযরত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের মহব্বত ও আদবের উচ্চতর ব্যবস্থা। হযরত আহমদ মুস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি আদব, ভক্তি, সম্মান, ইজ্জত, মহব্বত, প্রেম ও ইশকের প্রতি ধ্যান খেয়াল রেখে মিলাদ কিয়াম, নাতে রাসুল ও দরূদ শরীফ নামে এই বইটি লেখা হয়েছে। আশা করি বইটি বাজারে প্রচলিত মিলাদ কিয়াম ও দরূদ শরীফের বই থেকে একটু আলাদা হবে। বইটি মানুষের আত্মার খোরাক যোগান দিবে এবং মানুষের অন্তরে প্রিয় নবিজির প্রতি মহব্বত প্রেম