গল্পটা বদরুলের। ছোট থাকতে কখনও ডাক্তার বা ব্যারিস্টার হতে ইচ্ছে হয়নি তার। কখনও চায়নি এই জীবনও। কিন্তু নিয়তির অমোঘ জাঁতাকলে পরে, সাত ঘাটের জল খেয়ে সে আজ ঢাকার মাস্তান। নিজের অতীত নিয়ে বড় একটা কষ্ট সেঁটে আছে তার মনে। কেন এমন হতে হল? তার সাথেই বা কেন? গল্পটা প্রফেসর কটিজিয়ান স্প্রিংসের। এক তমসাবৃত পৃথিবীতে তিনি হারিয়েছেন সবকিছু। চিরচেনা পৃথিবীও হারিয়েছে তার আসল রূপ। ধ্বংস, রুক্ষ, যুদ্ধ আর বিদ্রোহে ভরা সেই পৃথিবীকে এক মরণ ঘাতকের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছে আছে মাত্র একটা অস্ত্র; ইপসিয়াম। গল্পটা মহামতি ফিমার। তার লড়াই আটশো সাতানব্বই মানুষের প্রাণকে নিয়ে, মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। হাতের সময় ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর শেষ ভরসা নিভে যাচ্ছে একটু একটু করে। আর আছে কঙ্কালসার লম্বা এক বৃদ্ধ। তার শরীর থেকে কেমন এক গন্ধ পাওয়া যায়। গন্ধটা চেনা কিন্তু অচেনা। তবে গন্ধের জন্য স্মৃতি হাতড়াতে হয় না। গন্ধই স্মৃতিকে কাছে টেনে নিয়ে আসে। বদরুল, প্রফেসর স্প্রিংস, মহামতি ফিমা — সবার জীবনে একটা রাস্তা দরকার। সহজ একটা রাস্তা। সুন্দর একটা সমাধান। কিন্তু সোজা রাস্তাতেও তো মানুষ হোঁচট খায়। আবার সহজ, সুন্দরকে ধরার জন্য চরম মাশুল গুনতে হয়। কিন্তু রাস্তার শেষে কি অপেক্ষা করছে, সেটা না বুঝে ছুটে চলে অনেকেই …