২১ এলেই মনে পড়ে বাংলা কত মায়ের কান্নার আহাজারি, মনে পড়ে আজো স্মৃতির পাতায় রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি। বাংলা আমার প্রাণের ভাষা এই বাংলা আমারই প্রাণের বিন্দু, বাংলায় আছে অমর গাঁথা কবি-সাহিত্যিকদের রচিত সিন্ধু! ২১ আমার ভাই হারা বোনের ক্রন্দন ধ্বনি আকাশে বাতাসে, প্রিয়তমার হারানো ভালোবাসা রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া-পলাশে। সাথী হারা বধূ কাঁদে নিরলে আজ ও স্বামী হারানোর বেদনায়, সন্তান পায়না আদরের ডাক বাবার মুখে পরম ভালোবাসায়। ভোরের পাখি আজো গান গায় ফিরে আসেনা ঐ হীরের ধন, বাংলা আমার প্রাণের আকুতি মা বোন সন্তানের ব্যথা ক্রন্দন। কৃষ্ণচূড়ার গাছে আজো ফুল ফুটে লালে লাল রঙ্গের আভায়, আমার ভাইয়েরা মিছিলে গেছে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার রক্ষায়। ফিরে কেন আসেনা তারা মায়ের বুকে বোনের আদর নিয়ে, বাংলা ভাষার জন্য তারা প্রাণ বলিদান দিলো নিঃশর্ত নির্ভয়ে! ডানা মেলে প্রজাপতি বাতাসে উড়ে পাখি উড়ে ঐ নীলাকাশে, বাংলায় আমি কথা বলি বাংলায় প্রাণ ভরে নেই নিঃশ্বাসে। আজো রয়েছে টেবিলে অক্ষত বাবার ভাঙ্গা চশমাটার ফ্রেম, সামলিয়ে রেখেছে মুছে মা তাঁর আঁচল দিয়ে কালির কলম। গুছিয়ে রেখেছে সযতনে মা বাবুর গায়ের প্যান্ট-শার্টগুলো, রক্তে ভিজেছে যে কাপড়গুলো পায়নি মা অপেক্ষায় রইলো। বোন ভাবে আদরের ভাই আসবে পিছনে ধরবে জড়িয়ে গলা, আদর করে বায়না ধরবে বলবে যত তার আব্দার কথা মালা। বোঝেনা কেন মা আসবেনা ফিরে আর আদরের সেই সন্তান! বোন কেন বোঝেনা ভাইয়ের রক্তে মিশেছে রাজপথে প্রাণ। বাংলা আমার মাতৃভাষা রক্ষা ভাই হারানোর করুণ আর্তনাদ, বাংলা আমার রক্তে ভেজা কত ভাইয়ের গোঙানি আওয়াজ। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট ছিল বাংলার তরুণেরা, বাংলা আমার প্রাণের দাবী বাংলা ভাষা বিশ্বে সবার সেরা। মাতৃভাষার জন্য করেছিল বাঙালি প্রতিবাদ মিছিল শ্লোগান, রচিত হবে বাংলা সাহিত্য যুগে যুগে ভাষা শহীদের অবদান।