সেকালের পূর্ববাংলা, আজকের বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালের হিসেবে তো বটেই, গুরুত্ব ও প্রভাবের দিক থেকেও। সাত দশক পার করে আসা এই বিদ্যাপীঠের অতীত ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়াস স্মৃতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিপর্বের দশজন কৃতী শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার স্মৃতিচারণে সমৃদ্ধ এই সংকলনটি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কারো জন্য যেমন অবশ্যপাঠ্য, তেমনি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাস নিয়ে আগ্রহীদের কাছেও প্রয়োজনীয় আকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এ. আর. মল্লিক, সালাহ্উদ্দীন আহমদ, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, রেজাউল হক খোন্দকার, আবদুশ শাকুর ও ওয়াজেদ আলীর স্মৃতিকথনে উঠে এসেছে পঞ্চাশ-ষাটের দশকের চড়াই-উতরাইময় সময়ের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবিস্তার চালচিত্র। এবিএম হোসেনের স্মৃতিলেখে মিলবে যুগপৎ আশা ও অস্থিরতায় মেশা মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর কালের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। আর শাহানারা হোসেন, আমানুল্লাহ্ আহমদ ও নাজিম মাহমুদের স্মৃতিগদ্যের পুরোটাই একাত্তরের অবরুদ্ধ ক্যাম্পাসকে ঘিরে; যা নতুন প্রজন্মের পাঠকদের হৃদয়কেও বিদীর্ণ করে তুলবে।
আবুল কাশেম আবুল কাশেম জন্ম ১৯৬০ সালে, বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের নয়াগোলায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল নিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করে এমএ পাস করেন ১৯৮২ সালে। ১৯৯২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন অধ্যাপক ড. অমলেন্দু দে-র অধীনে, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস প্রশাসন) নিয়োজিত ছিলেন অল্প কিছু সময়ের জন্য (১৯৮৬)। সিভিল সার্ভিস ছেড়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। ওই বিভাগের সভাপতি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। গবেষণার মূল ক্ষেত্র, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ তাঁর পঠন-পাঠনের বিষয়। সম্পাদিত গ্রন্থ : বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও আওয়ামী লীগ : ঐতিহাসিক দলিল (২০০১)।