ভূমিকা রাষ্ট্র, সাম্প্রদায়িকতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গ্রন্থটি গড়ে উঠেছে বিশটি রচনা নিয়ে।আলোচিত অধিকাংশ বিষয়ের কেন্দ্রমূলে রয়েছে সমকালীন বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্ভব হয় তার বিশ্লেষণ উপস্থিত করার পাশাপাশি উদ্ভুত সঙ্কটসময়হের পুনরাবৃত্তি কীভাবে রোধ করা যেতে পারে সে সম্পর্কেও লেখক নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছেন। এরকম রচনার মধ্যে রয়েছে সংবিধানের সাম্প্রদায়িকরণ, জিয়া এবং এরশাদ;খালেদা জিয়ার ক্ষমতায়ন; সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাদের উত্তরাধিকার;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল : বারবার আক্রান্ত হয় কেন প্রভৃতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতীয়তাবাদ, অর্পিত সম্পত্তি আইন এবং পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি চুক্তির মতো বিষয়ও এখানে আলোচিত হয়েছে। তাছাড়া মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এবং সাহিত্যিক-শিক্ষাবিদ আবুল ফজলকে নিয়ে লেখাও এ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। কঙ্কর সিংহকে গ্রন্থটি রচনা এবং অনন্যাকে তা পকাশ করার জন্য আমি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কবীর চৌধুরী ১লা জানুয়ারি, ১৯৯৯ “ঝরোকা” সড়ক ২৮, গুলশান, ঢাকা
সূচিপত্র ১. বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী ফিরে আসছে ২. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ : নতুন ভাবনা ৩. নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু : আজাদ হিন্দু সরকার ৪. ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ : পিছন ফিরে দেখা ৫. জাতির বিবেক আবুল ফজল : তাঁকে যেভাবে দেখতে চাই নি ৬. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ : আমরা এখন কতদূরে ৭. ‘আমার সোনার বাংলা’ : আর কতদিন ৮. ধর্মনিরপেক্ষতা : এক নতুন জীবন বোধ ৯. সংবিধানের সাম্প্রদায়িকতা : জিয়া এবং এরশাদ ১০. সাম্প্রদায়িক চেতনায় রবীন্দ্রনাথ ১১. খালেদা জিয়ার ক্ষমতায়ন : সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের উত্তরাধিকার ১২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল : বার বার আক্রান্ত হয় কেন ১৩. শেখ হাসিনার ঐকমত্যের সরকার ১৪. ক্ষমতা হারিয়ে খালেদা জিয়া : অন্যরূপ ১৫. বখতিয়ার খিলজি-সিরাজদ্দৌলা : সূর্যসেন-প্রীতিলতা ১৬. ধর্মীয় উৎসব কেন রাষ্ট্রীয় উৎসব হবে ১৭. অর্পিত সম্পত্তি আইন : বাতিল করার সময় এখনো আসে নি ১৮. সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ : সে কী সোনার হরিণ ১৯. মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারের জন্যে গৌরব করবো : চেতনার জন্য নয় ২০. মেঘ দেখে তুই করিস নে ভয়
জন্ম ২৫ জুলাই, ১৯৩৮, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। কলম ধরেছেন শেষ জীবনে। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি নিয়ে তার ভাবনা অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা। প্রথাগত ধারায় গবেষণা না। করলেও তার রচনায় বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা ও আলােচনার ছাপ সুস্পষ্ট। তিনি লিখেছেন বাংলাদেশের নির্যাতিত, মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কথা। লিখেছেন ব্রাত্য, অন্ত্যজ আর শূদ্রদের কথা। তার কলমে উঠে এসেছে ধর্মশাস্ত্রে নারীর অমর্যাদাকর অবস্থানের কথা। বিভিন্ন ধর্মের ধর্ম ও শাস্ত্রগ্রন্থ নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, আলােচনা এবং উপস্থাপনায় যে শৈল্পিক বৈশিষ্ট রয়েছে তা একান্তই তার নিজস্ব। তাঁর প্রতিটি গ্রন্থই বহুল আলােচিত।