কেউ কেউ এই পৃথিবীতে জাত গল্পবলিয়ে হয়ে জন্মায়। আর কেউ কেউ হয় আশরাফ জাহেদী। আর যাই হোক, তাকে জাত গল্পবলিয়ে বলার উপায় নেই। একটা ছোটখাটো লেখা দাঁড় করতেও অকল্পনীয় সংগ্রাম করতে হয় তাকে। ধীর পায়ে এক পা এগোলে পেছাতে হয় দেড় পা। কিন্তু সেই জাহেদীর সামনেই হঠাৎ বাস্তব হয়ে ধরা দিতে থাকল গল্পের একেকটা চরিত্র। ঘটতে থাকল একের পর এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এগুলো কি তার ভ্রম নাকি সত্যি অলৌকিক কিছু ঘটছে তার সাথে? মনোবিদ ও শিক্ষক শহীদুল জহির শেলির কাছে যুক্তিই সবকিছু। নাহ, তিনি মিসির আলি নন। তবে যুক্তি দিয়েই হয়তো খণ্ডন করতে হবে কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা। যুক্তি নামক ‘ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনকে’ গুরুত্ব দিতে গিয়ে ফেল মেরে বসবেন না তো প্রফেসর শেলি? প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর ম্যাকবেথ চিরজীবনই ছুটে বেড়িয়েছে অলৌকিকতার পেছনে। বনঘেঁষা এক প্রত্যন্ত গ্রামে কি এমন ঘটেছিল তার সাথে? এবার অলৌকিকের পিছে ছুটতে গিয়ে ম্যাকবেথ এমন কিছুর মুখোমুখি হবে না তো যা তাকে বানিয়ে দেবে শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডির নায়ক? হরর, ফ্যান্টাসি, সাইকোলজি, ডার্ক হিউমার, মিথলজি, এক চিমটি জাদুবাস্তবতা ও উদ্ভট, ব্যাখাহীন কিছু চরিত্র নিয়েই গড়ে উঠেছে “দেয়ালে তাদের ছায়া তবু”।
ইশরাক অর্ণব'এর জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজশাহী শহরেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত রয়েছেন তিনি। প্রধান শখ বই সংগ্রহ, বই পড়া। বই পড়া থেকেই মূলত লেখালেখিতে আসা। এছাড়াও রক, মেটাল, হেড-মেটাল মিউজিকের ভক্ত তিনি। প্রিয় লেখক: মাইকেল কনেলি, আগাথা ক্রিস্টি, হারুকী মুরাকামী। ইশরাক অর্ণবের এ পর্যন্ত প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ হল: দ্য ক্লাব দ্যুমা, লিজিয়ন, ১৯২২, ব্লাড ওয়ার্ক, আউট। এছাড়াও মৌলিক ছোটগল্প লিখেছেন বেশ কয়েকটি সংকলনে। বর্তমানে আরও কিছু অনুবাদ ও নিজের প্রথম মৌলিক উপন্যাসের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।