স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হলো ডিজিটাল সংযোগ। এর মাধ্যমেই আমাদের বিশ্ববলয়ে যুক্ত হতে হবে এবং বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল সংযোগ তৈরি করে একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিভাজন দূর করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের একটি মানবিক অবয়ব রয়েছে, অর্থাৎ মানুষকে কেন্দ্র করেই আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ মানে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভরতাই নয়, এর সঙ্গে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাসস্থান, গড় আয়ু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, অসাম্প্রদায়িকতা ও সাংস্কৃতিক মানোন্নয়নও যুক্ত। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দুই লেখকের রয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং এখনো বিভিন্ন নতুন বিষয়ে তাঁরা নিয়ত ঋদ্ধ হচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন প্রশাসনে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে যে অভিজ্ঞতা তাঁরা অর্জন করেছেন তার সঙ্গে তাঁদের গবেষক সত্তা যুক্ত করে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথনকশা বিষয়ে বইটিতে নির্মোহ আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে শূন্য ডিজিটাল বিভাজন এবং সর্বজনীন সংযোগ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লেখকদের এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অভিযাত্রা বিষয়ে নিবিষ্ট পাঠকদের একটি স্বচ্ছ ধারণা দেবে।
Title
স্মার্ট বাংলাদেশের অদম্য অভিযাত্রা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
চট্টগ্রামের সন্তান আবু হেনা মোরশেদ জামান বিপিএএ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষকের চাকরি ছেড়ে সিভিল সার্ভিসের ১১তম ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব। সুদীর্ঘ ৩১ বছরের কর্মকালে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ফরিদপুর ও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, ইউনেস্কো কমিশনের উপ-মহাসচিব, ভাইস কনসাল (হজ) জেদ্দা, করোনাকালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক এবং আইএমইডির সচিব হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ডের এআইটি, কোরিয়ার সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, কানাডার সেটিম ইনস্টিটিউট এবং ইন্ডিয়ার শ্রীরাম ইনস্টিটিউট অব বিজনেস টেকনোলজিতে। জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সিভিল সার্ভিসের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক' (বিপিএএ) প্রাপ্ত। এরই মধ্যে রম্য রচনাসহ তাঁর লেখা বেশকিছু বই পাঠকনন্দিত হয়েছে।