সায়ুরী মন্দিরে রাখা ‘ওমিকুজি’ টেনে নিল। 'ওমিকুজি' হচ্ছে লটারির মতো। সেই কাগজে ঈশ্বরের উপদেশ লেখা থাকে। আজ 'ওমিকুজি' তে কোনো উপদেশ ছিল না। ছিল ভালোবাসার আগমনী বার্তা। ‘ওমিকুজি‘ হাতে নিয়ে সায়ুরী চুপচাপ বসে রইল। কখনো কখনো ভালোবাসার চাইতেও মৃত্যু কামনা কারো জীবনে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।" - শি নো নাই বাসো "পুকুর ঘাটে কেউ কি পা পিছলে ডুবে মরে? আপনি বলেন স্যার? এ-ও কী সম্ভব! তার মৃত্যুর পর তাকে আমি অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছি, তুমি কি পা পিছলে পড়ে গেছ, নাকি কেউ তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে? সে কিছু বলে না স্যার। শুধু মিটিমিটি হাসে। কথাগুলো এক নাগাড়ে বলে ভদ্রলোক জামার হাতা দিয়ে নিজের চোখ দুটো মুছলো।" - ছায়াসঙ্গী "রাজনের শরীরটা খুব ক্লান্ত আর ভারী লাগছে। দুই চোখে যেন রাজ্যের ঘুম নেমে এসেছে। এর ভেতরেই সে তীব্র ভয়ে আচ্ছন্ন হলো। তার মনে হলো, একটু পরে কিছু একটা ঘটবে কিংবা ইতিমধ্যে কিছু একটা ঘটে গেছে যা সে বুঝতে পারছে না। কিন্তু যা ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর! যার জন্ম এই ভুবনে হয়নি, যার জন্ম হয়েছে অন্য কোনো রহস্যময় ভুবনে!" - অরবিট টেইলর্স ভৌতিক, অতিপ্রাকৃত, সাসপেন্স, ফ্যান্টাসি এবং রহস্য দিয়ে মোড়ানো চৌদ্দটি ভিন্ন স্বাদের গল্প দিয়ে তৈরি হয়েছে গল্প সংকলন "শী নো নাই বাসো"। যে সকল পাঠক একই মলাটে ভিন্ন রকম গল্পের স্বাদ পেতে চান তারা সংগ্রহ করতে পারেন "শী নো নেই বাসো" যার অর্থ "যেখানে মৃত্যু নেই"।
তামান্নার স্মৃতি রাজশাহীর একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি ভালােবাসা সেই ছোট বেলা থেকেই। লেখালেখির প্রথম হাতে খড়ি হয়েছিল যখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তেন সেই সময়। বাবা-মা সবসময় তার পাশে থেকে তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এখন স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে চুটিয়ে সংসার করছেন। বর্তমানে নিজের পেশা সামলিয়ে যতটুকু সময় পান ততটুকু সময় নিজের লেখালিখিতে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলাে পাঠকের কাছে একজন প্রকৃত লেখক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। আর সে চেষ্টাই জীবনের বাকি সময়টুক করে যাবেন তিনি। এটাই লেখকের এখন একমাত্র চাওয়া, নিজের কাছে তার একমাত্র তাঙ্গীকার।