লাওসের রাজধানী ভিয়েনচানে বছর পাঁচেক বসবাসের অভিজ্ঞতার সারাৎসারের সাথে উপস্থাপিত হয়েছে দূরপাহাড়ের রহস্য রঙিন মফস্বল শহর সিয়াংখোয়াং, লুয়াং-প্রবাং, উদমসাই ও পনসালি প্রভৃতিতে ক্রমাগত ভ্রমণের বর্ণনা। নৃতাত্ত্বিকের দৃষ্টিভঙ্গিতে আঁকা হয়েছে বৌদ্ধ মন্দিরে উপাসনা, সন্ন্যাসীদের চালচলন, পুষ্প-ধূপ-নৃত্যে চঞ্চল সব সাংস্কৃতিক আচারাদি, নববর্ষের পানমত্ততা ও মেকং নদীতে নৌকা বাইচের নকশা। তৃণমূল পর্যায়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ইমপ্যাক্টের টাটকা তথ্যের সাথে মিশ্রিত হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত পােড়াে ফরাসি ভিলায় ঘুরে বেড়ানোর সাদামাটা পর্যটনি বিলাস। খুব কাছ থেকে দেখা মানুষের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে শিষ্টাচারসম্মত আচারবিচার, কিংবা সন্ন্যাসীদের সহজিয়া সাহচর্য। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাজার অর্থনীতির বিস্তারের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত হয়েছে গাঁয়ের মানুষের অনটনক্লিষ্ট জীবনের অনাবিল আতিথেয়তা, নানা গোত্রের রমণীদের নশ্বর রূপ বিলাস ও গৃহপরিচারিকাদের সাথে আত্মীয়-পরিজনের মতো মেলামেশার কথা। প্রাকৃতিক রূপবৈভবের শিলা-সবুজ চিত্রপটে বিবৃত হয়েছে পাহাড়, নদী, ধানক্ষেত ও নানা গোত্রের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চালচিত্র।
Title
শত সন্ন্যাসী সহস্র মন্দির : লাওস ভ্রমণের বৃত্তান্ত
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি ।খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্ৰমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন।প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।