মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি হলো 'ভালোবাসা'। ভালোবাসার জন্য মানুষ স্বর্গ-মর্ত্য এক করে ফেলে। কিন্তু মিলহানের ভালোবাসা আটকা পড়ে আছে বইয়ের পাতায়, অন্য এক জগতে। বইয়ের কোনো চরিত্রের প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়া নতুন কিছু নয়। আর সেই চরিত্রের করুণ পরিণতি যে কোনো পাঠকই মেনে নিতে পারেন না, তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য মেনে নেয়া ছাড়া তাদের কী-বা করার থাকে! বড়োজোর নিজের ইচ্ছে মতো ফ্যান ফিকশন লিখতে পারেন। তবে মিলহান যখন পারল না, তখন সে সিদ্ধান্ত নিল, সাদা-কালো শব্দের বাঁধা অতিক্রম করে, প্রিয় চরিত্র, লীহার রঙিন জগতে গিয়ে তার ভাগ্য পরিবর্তন করার। পরম বিন্দুর কারণে প্রথমে সেই পথ মসৃণ থাকলেও, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জটিলতা। একজনের ভাগ্যের সুতো ছিঁড়লে যে, মহাবিশ্বের সবার ভাগ্যেই জট পাকিয়ে যাবে! মিলহান বা তার প্রিয় চরিত্র এটা না বুঝলেও, মহাজগতের রক্ষকেরা ঠিকই বুঝেন। মিলহান কি শেষ পর্যন্ত পারবে লীহার জগতে গিয়ে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে নাকি তার নেয়া সিদ্ধান্তে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়ে যাবে? রক্ষকেরা কি আবির্ভূত হবে দেবতা কিংবা অপদেবতার বেশে? কী এই পরম বিন্দু? সব উত্তর লুকিয়ে আছে পরম বিন্দুরই মাঝে…
মায়িশা ফারজানা। আপনজনদের কাছে তিনি 'পুষ্প' নামে পরিচিত। জন্ম ও বেড়ে ওঠা - আমের শহর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাই স্কুলের পাট চুকিয়ে ভর্তি হন খ্যাতনামা রাজশাহী কলেজে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অধ্যায়নরত। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সামনে থেকে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ ঘটেছিল তাঁর - দিয়েছেনও। বিতর্ক,আবৃত্তি,পাবলিক স্পিকিং, কুইজিং - সবকিছুতেই অংশ নিয়েছেন। অর্জন করেছেন বিভিন্ন সম্মানজনক পুরষ্কার। ২০১৮ সালে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণের। এছাড়াও ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনমি এন্ড এস্ট্রোফিজিক্স কম্পিটিশনে সাউথ এশিয়ান রিজিয়নে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মেধাবী রুয়েটিয়ানের জীবনের লক্ষ্য "সুখী মানুষ হওয়া"।"