আদলফো বিয়োয় কাসারেস (১৯১৪-১৯৯৯) আর্জেন্টিনার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক। ১৯৩২ সালে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর বাসায় বোর্হেসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। আমৃত্যু তাঁরা বন্ধু ছিলেন। দুজনেরই পছন্দের জন্রা ছিল ডিটেকটিভ ফিকশন ও ফ্যান্টাসি। ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয় কাসারেসের সর্বাধিক পঠিত উপন্যাস ‘মোরেলের উদ্ভাবন’। বইটির মুখবন্ধ লেখেন হোর্হে লুই বোর্হেস। বোর্হেসের বোন নোরা বোর্হেস এর প্রচ্ছদ আঁকেন। স্প্যানিশ সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির কমতির কথা উল্লেখ করে বোর্হেস বলেন, আদলফো বিয়োয় কাসারেসের মাধ্যমে স্প্যানিশ ভাষার সাহিত্যে এই নতুন জন্রার সাহিত্য লেখা শুরু হলো। উপন্যাসটি প্রকাশের পরপরই আলোড়ন তোলে পাঠক মহলে। ওক্তাবিও পাস, হুলিও কোর্তাসার, হুয়ান কার্লোস ওনেত্তি, আলেহো কার্পেন্তিয়ের, গাবরিয়েল গারসিয়া মার্কেসের মতো লাতিন সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখকরা এই উপন্যাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উপন্যাসের প্রটাগনিস্ট একজন পলাতক আসামি। ন্যায়বিচার এড়াতে সে অদ্ভুত রহস্যময় এক দ্বীপে আত্মগোপন করে। এখানে সবকিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটে। দ্বীপে পর্যটকরা আসে এবং ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আড়াল থেকে তাদের পর্যবেক্ষণ করে উপন্যাসের নায়ক। হঠাৎ করে পর্যটকরা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু রাতেই আবার পর্যটকদের দেখতে পায় সে। পরে বুঝতে পারে, সে যা দেখছে, যে মানুষগুলো তার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার কিছুই বাস্তব না। তাহলে কি? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য পড়তে হবে বিশ্বসাহিত্যের এই মাস্টারপিস।
আনিসুজ জামানের জন্ম ১৯৬২ সালের ২২ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার সৈয়দনগর গ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ঢাকায়। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রবাসী। প্রথমে জাপানে চাকুরিসূত্রে, পরে মেহিকোতে চাকুরিসূত্রে গেলেও অচিরেই সেখানে নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। বর্তমানে সন্তান ও স্ত্রীসহ ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ছােটবেলায় বহুভাষায় অভিজ্ঞ ও সাহিত্যরসিক নানার সাহিত্যপ্রীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। পরে মায়ের সাহিত্যপ্রীতিও অনুবাদক আনিসুজ্জামানের মনােগঠনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। মূল স্প্যানিশ থেকে তিনি লাতিন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন লেখকের লেখা অনুবাদ করেছেন। গাব্রিয়েল গার্সিয়া। মার্কেসের নিঃসঙ্গতার একশ বছর-ই তাঁর প্রথম প্রকাশিত অনুবাদগ্রন্থ।