‘ছোটদের মেসি’ বইটি আগাগোড়া এক মহাজীবনের গল্প। শৈশব-কৈশোর, বেড়ে ওঠা, দাদির প্রশ্রয়, দেশত্যাগ, জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া মেসির নানান গল্প নিয়ে তোমাদের জন্য এই বইটি লেখা হয়েছে। মেসিকে নিয়ে বানানো সিনেমা, ডকুমেন্টারি থেকেও দারুণ সব গল্প-কাহিনি এতে যুক্ত করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার রোজারিওর রাস্তা কিংবা এক চিলতে ফাঁকা জায়গায় খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠা একজন কালজয়ী ফুটবলশিল্পীর শৈশবের সংগ্রামমুখর দিনগুলোর গল্পই নয়, পারিবারিক আবহে বেড়ে ওঠা এক শিশুর স্বপ্নপূরণের অনবদ্য কাহিনিও এই বই। মেসির শৈশবের দুঃখ-কষ্টের কথা পাবে বইটিতে। কীভাবে একজন ‘রোগা শিশু’ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন- সে কথাই নানা আঙ্গিকে এসেছে বইটির পাতায় পাতায়। আজীবন শৈশরের কথা মনে রেখেছেন মেসি। তাই তো বিয়ে করেছেন শৈশবের বান্ধবীকে। এখনো মেসি খেলার মাঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে যার কথা স্মরণ করেন, তিনি শৈশবের একনিষ্ঠ বন্ধু দাদি। যার উৎসাহ আর সমর্থনে মেসির এত দূর আসা! এত বড় হওয়া। এমনই সব স্মৃতি, কাহিনি আর নাটকীয় ঘটনায় ভরা অনন্য এক বই ‘ছোটদের মেসি’। পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই। রঙিন ছবি আর ইলাসট্রেশনে ভরা পুরো বইটি তোমাদের অনেক মুগ্ধ করবে। আলাদা আলাদা পর্বে জন্ম, শৈশব ও কৈশোর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ জয় পর্যন্ত মেসির পুরো জীবন উঠে এসেছে।
নাজমুল হক তপনের জন্ম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার শ্যামপুর গ্রামে। পেশায় ক্রীড়া সাংবাদিক হলেও নেশায় একজন আড্ডাবাজ। দুনিয়ার যাবতীয় বিষয়ে আগ্রহ নাজমুল হক তপনের। রবীন্দ্রনাথ থেকে নীরেন্দ্রনাথ, কোনাে কিছুতেই অনীহা নেই তার। তবে সবকিছুর আগে তার প্রথম পছন্দ আড্ডা। সে আড্ডায় চায়ের কাপ হাতে রাজনীতি, অর্থনীতি কিংবা সাহিত্যের যেকোনাে বিষয় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার সঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারবেন আপনি। এমনকি রাত ৩টায়ও ঘুম থেকে উঠিয়ে (যদিও তখন কেবল তার রাতের শুরু)। আপনি আড্ডা দিতে পারেন। একেবারে অপরিচিত মানুষের সঙ্গেও আড্ডা দিতে আপত্তি নেই তপনের। এসব আডডার। মাঝেই বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে পান নাজমুল হক তপন। কখনাে কখনাে লেখার বিষয়ও আড্ডার মাঝ থেকে খুঁজে পান। তাই আড্ডার বাইরে জীবনের আলাদা কোনাে অর্থ নেই। তপনের কাছে। একটাই তাে জীবন, আড্ডা দিয়েই না হয় কাটিয়ে দেয়া যাক। অন্য জীবনে অন্য কিছু ভাবা যাবে।