চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য-ভাষা-সংস্কৃতি ও জীবন-সমাজ নিয়ে কিছু তথ্যচিত্র তুলে ধরেছেন রশীদ এনাম। রসনার জৌলুসে অনন্য চাঁটগা। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি ইতিকথা, রসনা বিলাস, চাটগাঁইয়া মেজ্জান, সওদাগর প্রথার উৎপত্তি, লোকজ খেলাধুলা, বলীখেলা এবং প্রাচীন জলযান সাম্পান বিষয়ক গদ্যগুলো তথ্যগল্প নির্ভর। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির আদি রূপ ও নিজস্ব জৌলুস নিয়ে লেখকের বিশ্লেষণ বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে। ।।। রশীদ এনামঃ জন্ম ২ অক্টোবর, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড 'মায়ের বাগান' লাল মিয়া গান্ধির বাড়ি। পিতা- ফিরোজ আহমেদ কৃষিবিদ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কৃষি কর্মকর্তা) মাতা-জাহেদা আহমেদ (গৃহিণী)। শিক্ষাজীবন: আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি, পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হতে হিসাববিজ্ঞানে (সম্মান) ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ হতে হিসাববিজ্ঞানে (এম কম)। পেশা: চাকরি। শখ: বই পড়া, ভ্রমণ ও বাগান করা। যে সকল সংগঠনের সাথে জড়িত প্রথম আলো বন্ধুসভা, চট্টগ্রাম একাডেমি, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা, বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, আজকের প্রজন্ম, পটিয়া ক্লাব, মালঞ্চ। প্রকাশিত বই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জীবনী গ্রন্থ: একাত্তরের শহীদ ছবুর, একাত্তরের জলপুত্র (মুক্তিযোদ্ধা সুনীল কান্তি জলদাস) শিশুতোষ গল্প: পরীর দিঘিতে ভূতের জাহাজ, ভূতের পেন্সিলে আঁকা ছোট কাকুর গল্প, রেললাইনে পাথর ভূত, শিয়াল ও বনমোরগের লড়াই। ইতিহাস ঐতিহ্য ও রম্যরচনা: চাটগাঁইয়া মেজ্জান। সমন্বয় সহকারী হিসেবে নিয়মিত লিখেন ইতিহাসের খসড়া ম্যাগাজিনে। অর্জন: ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে খুলনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে 'আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মিলনীর অষ্টম বার্ষিক সম্মেলনে' রশীদ এনামের লেখা 'যুদ্ধ শেষে যে ছেলেটি বাড়ি ফিরেনি' ফিচারটি সেমিনারে উপস্থাপিত হয়। 'একাত্তরের শহীদ ছবুর' বইটির সূত্র ধরে দীর্ঘ ৫১ বছর পর 'ছবুর' পরিবার শহিদ স্বীকৃতি, শহিদ ভাতা ও রেশন কার্ড পেয়েছেন।
রশীদ এনাম,৮ ফেব্রæয়ারী ১৯৮১সালে পটিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের লালমিয়া গান্ধির বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা- ফিরোজ আহমেদ কৃষিবিদ (অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা) মাতা-জাহেদা আহমেদ (গৃহিনী)। পটিয়া পৌরসভার শেয়ান পাড়া পশ্চিম পটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক সমাপনি এবং ১৯৯৬ সালে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি, পটিয়া সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজ হতে হিসাব বিজ্ঞানে (সম্মান) ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ হতে হিসাব বিজ্ঞানে এম কম পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করেন বাংলা লিংকের গ্রাহক সেবা কর্মকর্তা হিসেবে, বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। শৈশবে বেড়ে উঠা গ্রামেই। দুরন্ত দস্যিপনায় বেড়ে উঠা ছেলেটি ইসকুল বেলা থেকে লেখালিখি শুরু করেন। কাছের বন্ধুদের আড্ডার প্রাণবন্তমুখ এই তরুণ লেখককে চিনে একজন স্বপ্নবাজ গল্পকার হিসেবে। চট্টগ্রামের একটি দৈনিক পত্রিকায় পটিয়া প্রতিনিধি হিসেবে বেশ কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন। ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক ফিচার লিখতেন চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায়। এছাড়াও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তাঁর ছোট গল্প ও ফিচার ছাপা হয়। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত শিশু কিশোর জনপ্রিয় পত্রিকা টইটম্বুরের পরামর্শক পর্ষদের সদস্য ও ঢাকার সমন্বয় সহকারী হিসেবে সম্প্রতি নিয়মিত লিখছেন ইতিহাসের খসড়া ম্যাগাজিনে, শুধু লিখালিখিতে থেমে নেই। সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য ভালোবাসার হাত বাড়িয়েছেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের প্রতিও। নিষ্পেষিত পরিবারের শিশুদের জন্য চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় ‘বর্ণের হাতে খড়ি’ নামে একটি হেল্পলেস চাইল্ড ইসকুল করেছেন। বর্ণের হাতে-খড়ি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক লেখক নিজেই। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবেও বেশ সুনাম রয়েছে বন্ধু মহলের কাছে। পটিয়ায় নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মাতাবিস(মাদক ও তামাক বিরোধী সংগঠন)। পটিয়া সৃজনশীল সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চের সংগঠক এবং পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নেজাম স্মৃতি স্পোটিং ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক। এছাড়াও নিরলসভাবে কাজ করেছেন, প্রথম আলো চট্টগ্রাম জেলা বন্ধুসভায় ও বাংলাদেশ গণিত অলম্পিয়াডে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার অর্জনে নিবেদিত সংগঠন বি-স্ক্যান(বাংলাদেশ সোসাইটি ফর চেঞ্জ এন্ড এডভোকেসী নেক্সাস) এর নির্বাহী সদস্য এবং চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা-র আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম একাডেমী ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য এবং ঢাকা “আজকের প্রজন্ম” সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক । পটিয়া ক্লাবের আজীবন সদস্য ।