সংসার হলো এক একটি গল্প যা গরম গরম ভাপা পিঠার মতো আর সম্পর্ক হলো সুখ দুঃখের ফেরিওয়ালা। যা ঠিক আইসক্রিমের মতো ।নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তা খাওয়ার উপযোগী ।অবহেলায় অযত্নে বাইরে পড়ে থাকলে সেটা খাওয়ার উপযোগী থাকে না। গলে নষ্ট হয়ে যায়। গল্পওয়ালাদের গলায় দুঃখী স্বর সব সময় হেঁকে ওঠে। তাদের সবকিছু থাকার পরেও মুখে বিষন্নতার ছাপ থাকে। হৃদয়ে দুঃখ নামের নদী বয়ে চলে। এ গল্পের শহরে সবাই দুঃখী মানুষ। সবাই অভাবগ্রস্থ। কারো ভাতের অভাব, কারো খ্যাতির অভাব, কারো সময়ের অভাব ,কারো প্রিয় মানুষের অভাব আর কারো বা ভালোবাসার অভাব। কেউ পেয়ে হারায়। কেউ না পেয়ে আফসোস করে।মানুষ আফসোস করতে বেশি পছন্দ করে। আঁকড়ে ধরে নয় বরং হারিয়ে ফেলার পর ভালোবাসা খোঁজে। পেয়ে হারিয়ে মূল্য বোঝে। এটাই মানব জীবন। জীবন আকাশের মত ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। তবুও জীবন উদ্দেশ্যহীন নয়। একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে জীবন ঘুরতে থাকে। জীবনে উথান পতন হয়। সংসারের টানা পোড়েন থাকে। তবুও সুখ দুঃখের মাঝে জীবন চলে তার আপন গতিতে। এই গতি থামানোর সাধ্য আমাদের কারো নেই। বিশাল এ পৃথিবীতে মানুষ তার নিজেকে দান করে পূর্ণ হয়ে ওঠার প্রয়াসে। দুঃখকে গলার মালা করে যে হাসতে শিখে গেছে সে তো জীবনের আসল স্বাদ পেয়ে গেছে। তাকে কখনো আর দুঃখ স্পর্শ করতে পারে না। "কোথাও কেউ ভালো নেই" এ গল্পের শহরে নিজেদের অস্তিত্ব, পরিবার , সময়, সম্পর্ক আর সমাজকে ব্যাখ্যা করারই প্রয়াস মাত্র।
শারমিন হক। জন্ম ১১ জুলাই। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার হারদি গ্রামে। বাবা-আমিরুল হক। মা- মিনু হক। জীবনসঙ্গী- ইঞ্জিনিয়ার রাজিব শেখ। স্বনামধন্য ইডেন মহিলা কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এবং মহানগর "ল" কলেজ থেকে এলএলবি শেষ করেন। ২০১৯ বইমেলায় তার শিশুতোষ শিক্ষামূলক দুটি বই "ভালো কাজের পুরস্কার" এবং 'অহংকারী গাছ ও উপকারী মৌমাছি' প্রকাশিত হয়েছিল "বাংলা প্রকাশ" থেকে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "অভিমানী" জনতা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয় ২০২০ বইমেলায়। ভোরের কাগজ পত্রিকা এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তার গল্প, কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে । তার প্রথম গল্প গ্রন্থ "কোথাও কেউ ভালো নেই"।