টোকিওতে এই হারিয়ে যাওয়ার কারণে শহরের আরেকটি এলাকার সড়কে চলাচলের একটা অভিজ্ঞতা তো হল । প্রশস্ত সড়ক। কিন্তু স্বল্পসংখ্যক গাড়ি। মানুষজনও তেমন নেই। দেখলাম সরব টোকিওর অপেক্ষাকৃত নীরব এলাকার জনজীবনের প্রতিচ্ছবি । এটাই বা কম কী? বাস থেকে দেখতে পাচ্ছি ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন সড়ক। অবাক করা ব্যাপার হল এতটা পথ এলাম, বাণিজ্যিক এলাকার বড় রাস্তা বা আবাসিক এলাকার রাস্তায় সিগারেটের টুকরো বা প্লাস্টিকের বোতল দূরে থাক কাগজের কোনও ছোট টুকরো-ও নজরে এলোনা। কী করে সম্ভব? পুলিশের ভয়ে নয়, মানুষের নাগরিক সচেতনতাতেই এমনটা সম্ভব। বাংলাদেশে ঢাকা সহ ছোট বড় শহরে কোটি টাকার গাড়ি থেকে-ও সফ্ট ড্রিঙ্কস-য়ের খালি বোতল ছুঁড়ে মারেন অনেকে । শহরটাকে নিজের মনে করেন না । পুরো শহরকে ভাবেন ট্র্যাশ বিন । আসলে শহরটাকে আপন ভাবতে হবে। দেশটাকে ভালবাসতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি । কিন্তু মননে, হৃদয়ে দেশ-কে ধারন করি না। রাস্তায় ও পার্কিং-য়ে মোটরযানের মিছিল। কাছাকাছি তেমন গাছপালা নেই। সবুজপ্রান্তর এখান থেকে চোখে পড়ছে না। টোকিওতে পার্ক আছে অনেক। চেরি ফুলের বাগান এ শহরের একটি বৈশিষ্ট্য। এখন সেই ফুল ফোটার সময়। সাদাও লাল চেরিতে সেসব বাগান ছেয়ে আছে। দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে। গোল ছাদ ঘুরতে গিয়ে একজায়গায় দৃষ্টি আটকে গেল। দূরে শহরের সীমানার বাইরে মাউন্ট ফুজি । ঝকঝকে সূর্যালোয় চিকচিক করছে মাউন্ট ফুজির বরফ। মন আকুলি বিকুলি করে ওঠা অনুভবে মাউন্ট ফুজি-র দিকে আঙুল দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করায় কাজ্যুয়া বললেন,“নেক্সট টাইম।”