আমরা ভারত ভ্রমণ করি তাজমহল দেখার জন্য, মিশর ভ্রমণ করি পিরামিড দেখতে, নীল মসজিদ দেখতে তুরস্ক, কলসিয়াম দেখতে ইতালি, ইনকা সভ্যতার খোঁজে দক্ষিণ আমেরিকা এবং অনুরুপভাবে অন্যান্য স্থান ভ্রমণ করি। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যকই ইনুইটদের ভূমি- নুনাভুট ভ্রমণ করে। একটি ছোট নুনাভুট সম্প্রদায়- আর্কটিক বেতে লেখক মো. আব্দুস সালামের ভ্রমণ করার এবং ১২ বছর থাকার ও কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। পৃথিবীর খুব বেশি মানুষ নুনাভুট সম্পর্কে জানে না। কানাডার দক্ষিণাঞ্চলের অনেক মানুষ জানেই না নুনাভুট কি বা কোথায় অবস্থিত, আর্কটিক উপসাগর সম্পর্কে জানা তো দূরে থাক, যেখানে ২০০৭ সালে সালাম পড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন। তিনি যেমন রূক্ষ্ম শীত এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ, যা কানাডার দক্ষিণাঞ্চলে বিরল, মোকাবেলা করতে শিখেছেন, তেমনি আর্কটিক তাকে মেরু ভল্লুক থেকে নিয়ে অরোরা বোরিয়ালিস, স্নোমোবাইল এবং সুপেয় পানির সমস্যার মত অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতাও দিয়েছে। বড় লোকালয়ে অসংখ্য সুযোগ-সুবিধার মাঝে থেকে অভ্যস্ত সালাম ইনুইটদের ভূমিতে থাকার এবং শিক্ষকতার সময় কিছু বিরল দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার মুখোমুখি হন। উত্তরাঞ্চলে তিনি ইনুইট সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং শিকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রূক্ষ পরিবেশে থাকাও শিখেছেন, যার মধ্যে ছিল -৬০ ডিগ্রি ঠান্ডা, শীতকালে টানা তিন মাসের অন্ধকার এবং গ্রীষ্মে টানা তিন মাসের ২৪/৭ সূর্যালোক। স্মৃতিকথামূলক বইটি প্রথমে অভিবাসী শিক্ষক এবং পরে আর্কটিক বে লোকালয়ে একজন প্রিন্সিপাল হিসেবে মো. আব্দুস সালামের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে। ইকপিয়ারজুকঃ ইনুইট ভূমিতে আমার শিক্ষকতার চ্যালেঞ্জগুলো সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি স্থানে একজন প্রতিভাবান শিক্ষানবিশের থাকার এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে।