বরেণ্য শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলামের ‘রাক্ষুল ও দুঃখপুর গ্রামের গল্প’ গ্রন্থটি শিশু-কিশোর সাহিত্যের ‘আকর’ গ্রন্থ হিসাবে সাহিত্যের ইতিহাসে স্থান করে নেবে বলে আমার বি্শ্বাস। খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম একদিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী’ দিবসের গুরুত্বকে এই প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মাঝে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। অন্যদিকে ‘রোবট কাঁদতে জানে না’ এই সত্যকে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হতে উৎসাহ প্রদানের সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। প্রিয় বন্ধুদের গল্পের পটভুমিতে যুক্ত করা যেমন-শিশুসাহিত্যিক রহিম শাহকে নিয়ে লিখেছেন ‘পাখি হয়ে যাবে রহীম শাহ’, শিল্পঋষি ধ্রুব এষ দাদাকে নিয়ে লিখেছেন ‘শরতের বৃষ্টি ও ধ্রুব এষ’। এছাড়াও ‘পদ্মা সেতুর গান’, ‘লাল সবুজ পোশাকের মিছিল’ ‘আমার বাবা ভাষাসৈনিক’ প্রভৃতি গল্পগুলো পাঠকের মন আলোড়িত করতে সক্ষম। দেশের শিশুসাহিত্যের সকল শাখায় যাঁর সমান পদচারণা, তিনি ২০০৬ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়াও অসংখ্য সনদ, সম্মাননা আছে তাঁর অর্জন ভাণ্ডারে। বরেণ্য শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম’র রচিত ‘রাক্ষুল ও দুঃখপুর গ্রামের গল্প’ গ্রন্থটির সবগুলো গল্প পাঠকপ্রিয়তা পাবে। গ্রন্থটি সেরা শিশু-কিশোর গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হোক। সেই প্রত্যাশায়। -- আবুল খায়ের, কবি ও প্রকাশক
জন্ম ৭ই এপ্রিল ১৯৬৪, লালবাগ, ঢাকা । পিতা প্ৰয়াত সাইফুর রহমান। মাতা প্ৰয়াত আনজিরা খাতুন। পিতৃব্য প্রয়াত কবি হাবীবুর রহমান, খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক । শিশুসাহিত্যের সকল শাখায় সমান স্বচ্ছন্দ। ২০০৬ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। সবচেয়ে কম বয়সে খামখেয়ালি ছড়াগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন শিশু একাডেমী আয়োজিত অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার। পরে এই পুরস্কার পেয়েছেন আরও পাঁচবার । এ ছাড়াও পেয়েছেন সিকানন্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪), নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২০০৩), পদক্ষেপ সাহিত্য পুরস্কার (২০০৫), ছােটদের পত্রিকা পুরস্কার (২০০৭), ছোটদের মেলা পুরস্কার (২০০৯/২০১০), জাতীয় ছড়া উৎসব। ২০১১ সম্মাননা, শামসুর রাহমান সাহিত্য পুরস্কার (২০১১) এবং ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল পুনর্মিলনী সম্মাননা। ২০১১ । কলকাতা থেকে অন্নদাশঙ্কর সাহিত্য পুরস্কার ২০১২। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। সবই শিশুসাহিত্য। দেশের খ্যাতিমান সকল প্রকাশনা সংস্থা থেকে এক বা একাধিক বই প্ৰকাশিত হয়েছে । দশ বছর সম্পাদক ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর-তরুণদের উৎকর্ষধ্যমী মাসিক আসন্না-র । অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার কিশোরদের পাতা সম্পাদনা করেছেন। পাঁচ বছর । বর্তমানে চ্যানেল আই-এর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে কর্মরত। সাপ্তাহিক-এর প্রকাশকও তিনি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির ফেলো, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপনা-সদস্য। প্রিয় শখ পুরোনো বই ও চিত্ৰকলা সংগ্ৰহ, বইপড়া, দাবাখেলা, রবীন্দ্রসংগীত শোনা ।