মৃত মহিলার পেট থেকে বাচ্চাটাকে অপসারণ করার পর ভীষণভাবে চমকে উঠলেন প্রফেসর হায়দার। সাপের সঙ্গে নবজাতকের চেহারার অদ্ভুত মিল রয়েছে। মানুষের পেটে সাপের বাচ্চা এলো কী করে? চিন্তার ঝড় বয়ে যায় প্রবীণ চিকিৎসকের মাথায়। আসল ঘটনাটা কী? শিকারে ব্যর্থ ক্লান্ত এক শিকারি ফিরছিলেন জঙ্গলের ধার দিয়ে। সেই আরণ্যক সন্ধ্যায় হঠাৎ গাছের উপর থেকে ভেসে আসে মানব শিশুর কান্নার আওয়াজ। এক নিমিষে বুকের রক্ত হিম হয়ে যায় দুর্দান্ত সাহসী শিকারির। এই নির্জন জঙ্গলে গাছের ডালে মানব শিশু এলো কোথা থেকে? এক সকালে বাড়ির অদুরে দূর্ভেদ্য বাঁশঝাড়ের ভিতর ঝুলে থাকতে দেখা গেল রাজ্জাক মিয়ার মেয়ের লাশ। ধরবে দুর্ভেদ্য কাঁটাঝাড়ি বাঁশ ঝারের এতটা উপরে উঠলো কি করে মেয়েটা? এটা কি হত্যা, আত্মহত্যা, না-কি জ্বীনের কাজ? চরম আতঙ্ক নেমে আসে গ্রাম জুড়ে। চাঁদ থেকে সরে গেছে কালো মেঘের আড়াল, স্নিগ্ধ আলোয় ভয়ানক গোরস্থান যেন পরিণত হয়েছে এক টুকরো স্বর্গে। ঠিক তখনই কবরের গুহা থেকে ভেসে এলো নবজাতকের কান্নার আওয়াজ। মৃত্যু গুহায় জন্মের উৎসবে মেতে উঠলো ফুটফুটে শিশু। বিষয়টা কী? কাল কেউটে, রহস্যময় নিশাচর এক সাপ, অতি সন্তর্পণে ছোবল হানে মানুষের গায়ে। স্নায়ু-বিনাশী বিষ যখন কাজ করতে শুরু করে তখন আর করার কিছুই থাকে না। তার প্রিয় খাদ্য অন্য সাপ, তারই ছোবলে গল্পের যুবকের মত আজও বহু মানুষের মৃত্যু হয় গ্রামে। সর্পমানব গ্রন্থটিতে রহস্য, শিহরণ আর ভয়ের পাশাপাশি পাঠক খুঁজে খুঁজে পাবেন অকুতোভয় এক যোদ্ধাকে, মৃত্যুর শিল্পী ছিলেন তিনি। দেখা হবে ক্ষুধার্ত এক শিয়ালের সাথে, মৃত্যু ক্ষুধায় যে স্বজাতির মাংস খেতে বাধ্য হয়েছে। আর আছে সেই বিচিত্র মানুষটির পুরুষালী গল্প, মেয়ে হয়েও যে মেয়ে নয়। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, সর্প মানব গ্রন্থটি পাঠকে এই কঠিন বাস্তবতা থেকে এক টানে তুলে নিয়ে যাবে অন্য আরেক ভুবনে।