নুপা আলম মূলত প্রেম ও রোমান্টিকতা, নিসর্গ ও সৌন্দর্য চেতনায় নিমগ্ন কবি। তাই তাঁর ‘কথন-স্রোত’ কাব্যের অনুষঙ্গ হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন নারী, নিসর্গ ও ব্যক্তি প্রেমের মধ্য দিয়ে স্বদেশ প্রেমের অনিবার্য বাস্তবতাকে। কবি তাঁর অনভূতিকে প্রকাশ করেছেন এভাবে- ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইনটি রাখি তোমারই জন্য, একবার হলেও গ্রহণ করে করো আমায় ধন্য।’ তাঁর দু-পঙক্তির কবিতায় উপমা ও উৎপ্রেক্ষা অসাধারণ ও বিচিত্রতায় পরিপূর্ণ যা শিল্প মাধুর্যে ভরপুর। কবিতার পরতে পরতেই লুকানো রয়েছে কষ্ট, দীর্ঘশ্বাস, আবেগ, অভিব্যক্ত, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ--যা কবিকে অহনির্শ বেদনার্ত করে তুলেছে। জৈবিকতা প্রাণীমাত্রই অপরিহার্য একটি ব্যাপার। নুপা আলমও সেই অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করেননি। বরং অকপটে তা কবিতার শরীরে রূপ দিয়েছেন সহজাত শিল্পবোধের সমন্বয়ে। এখানে কবি নিজেকে একজন সম্পন্ন ও সম্পূর্ণ নারীর কাছে সমর্পণ করেছেন। নারী, দেশাত্মবোধ ও প্রকৃতির সঙ্গমে কবি নুপার যে কাব্যিক মিথষ্ক্রিয়া তাতে শ্বাশ্বত সত্য ও সুন্দরের নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছে। গ্রন্থটিতে দু-পঙক্তির ১০১ টি কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রতিটি পৃষ্ঠায় রয়েছে আলাদা অলংকরণ। এটি নুপা আলমের তৃতীয় গ্রন্থ এবং কবিতা গ্রন্থ হিসেবে প্রথম। এটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন কবি শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য।