আমাদের পরিচিত বন্ধুদের অনেকের ডান হাত বা ডান পা বেশি চলে কেন? আবার কারও বাঁ পাশের হাত-পা বেশি দক্ষ কেন? আসল ঘটনাটি ঘটে মস্তিষ্কে। শরীরের ডান পাশের হাত-পা-চোখ প্রভৃতি কাজ করে মূলত তার মস্তিষ্কের বাঁ অংশের সক্রিয়তার কারণে। আবার অনেকের বাঁ হাতও সমান দক্ষতাসম্পন্ন। তাঁদের মস্তিষ্কের ডান পাশ হাতের সক্রিয়তার ব্যাপারে বেশি সক্রিয়। ব্যাপারটা ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নয়, মস্তিষ্কের সক্রিয়তার ব্যাপার। এ রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ রয়েছে তরুণদের। যেমন কম্পাসের কাঁটা কেন উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে? পিরামিড তৈরির কৌশলটি কী ছিল? এগুলোর উত্তর হতে হবে বিজ্ঞানসম্মত। সচেতন থাকতে হবে, যেন আমরা কেউ ভুল উত্তরের চক্করে না পড়ি। তরুণ প্রজন্মের শত শত প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর জানার জন্য এ বই বিশেষ অবদান রাখবে। আজকের তরুণই হবে আগামী দিনের বিজ্ঞানী। ওরাই হবে আধুনিক বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উজ্জ্বল তারকা। ব্যাক কভার ‘খালি কলস বাজে বেশি’—তাই না? কিন্তু কেন বলুন তো? জোয়ার-ভাটার সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক কী? মাধ্যাকর্ষণ বল মোমবাতির শিখা টেনে নামায় না কেন? মঙ্গলে কি মানববসতি তৈরি করা সম্ভব? মহাবিশ্বের সব গ্রহ গোল কেন? নক্ষত্রগুলোকে তারকা আকৃতিতে দেখা যায় কেন? টিয়া পাখি এত মরিচ খায়, তাদের ঝাল লাগে না কেন? কফির সঙ্গে দুধ মেশালে অনেক সময় তেতো লাগে কেন? মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়? ভিডিও গেম কি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়? এসব কী ও কেন-এর উত্তর কী? পড়ুন বিজ্ঞানের এই ব্যতিক্রমী বইটি।
জন্ম: ১৮ জানুয়ারি ১৯৫০, ঢাকায় । এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বামধারার রাজনীতি করতেন । বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে প্ৰথম অ্যালোর সহযোগী সম্পাদক । বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির কোষাধ্যক্ষ । বিজ্ঞান বিষয়ে পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন । বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে এযাবৎ পনেরোটির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানের রাজ্যে বন্ট ও কেন, কাৰ্য্যকারণ প্রশ্ন ও উত্তর বিজ্ঞানের রাজ্যে রহস্য/ভেদ প্রশ্ন অ্যর প্রশ্ন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।