‘মানব মনস্তত্ত্বের কুরআনী ধারণা’ গ্রন্থটি অনবদ্য ছয়টি প্রবন্ধের সংকলন। বইটির প্রবন্ধগুলো মানব মনস্তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনাকে সন্নিবেশিত করেছে। বিশ্লেষণাত্মক মনোবিজ্ঞানে মানব চিন্তার ইতিহাসে ‘সাইকি’ শব্দটির গভীর বিশ্লেষণের ওপর ড. আবসার আহমদের ‘মানব মনস্তত্ত্বের কুরআনী ধারণাসমূহ’ শীর্ষক প্রবন্ধটি অনন্য। আল-কুরআনের আয়াতের ওপর ভিত্তি করে উপস্থাপিত তার যুক্তিগুলো আল্লাহর সাথে মানুষের আদিম চুক্তির বর্ণনা দেয়। মিসেস নওমানা আমজাদ রচিত ‘ইসলামী আধ্যাত্মিকতা ও দার্শনিক ঐতিহ্যের মনস্তত্ত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধে আল-কুরআনে ব্যবহৃত চারটি শব্দ ‘রূহ’, ‘ক্বল্ব’, ‘নফ্স্’ এবং ‘আকল’-র প্রেক্ষিতে মনস্তত্ত্ব এবং আল-গাজালি, শিহাব আল-দীন আল-সোহরাওয়ার্দি, ইবনে সিন্দ এবং মুল্লা সদর দ্বীন আল-সিরাজি-র মতো লোকদের ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক রচিত ‘হার্ট : মানব মনস্তত্ত্বের কেন্দ্রবিন্দু’ শীর্ষক প্রবন্ধে ইসলামি বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যে ‘হৃদয়’-র বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ড. মাহ নাজির রিয়াজ রচিত ‘আল-কুরআনে ব্যক্তি ও সমাজ’ শীর্ষক প্রবন্ধে আল-কুরআনে বর্ণিত ব্যক্তি ও সমাজের কার্যকারিতাকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন নীতিগুলোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রফেসর আব্দুল হাই আলাভী রচিত ‘মানসিক স্বাস্থ্যের কুরআনী ধারণা’ শীর্ষক প্রবন্ধে মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন মডেল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কাজী শামসুদ্দিন মো: ইলিয়াস ‘মুসলিম ধার্মিকতার বিভিন্ন দিক: মানদণ্ড’ শীর্ষক প্রবন্ধটিতে ধর্মের ধারণাটি বিভিন্ন ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
ইমদাদুল হক জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ সেখানেই। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বপ্ন দেখেন এক সোনালী প্রজন্ম বিনির্মাণের। তার প্রতিটি নিঃশ্বাস আর ভাবনার অনুরণনে আধুনিক যুবমানসের যাতনা ও চেতনা। তাই তার ধ্যানে-জ্ঞানে শিশু ও বয়োসন্ধিকালের মনস্তত্ত্ব।