স্বাধীনতার পর আশি ও নব্বই দশকে আমাদের দেশের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিলো ‘বই পড়া’। সকল শ্রেণির মানুষ অবসর সময় কাটাতো বই নিয়ে। সে সময়ে বাংলাসাহিত্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যার, তাঁর রচিত বইগুলো বিভিন্নমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। গ্রন্থের পাশাপাশি টিভিতেও তাঁর রচিত ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হতো। মূলত তিনি একছত্রভাবে বই ও টিভি বিনোদনের মাধ্যম ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি হয়ে উঠেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক। এই প্রখ্যাত সাহিত্যিকের ‘হিমু’ চরিত্র পাঠকের মনে এবং মননে বিশেষ করে তরুন সমাজকে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি এবং বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। অদ্যাবধি বাণিজ্যিকভাবে হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমু’ই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় চরিত্র হিসেবে পরিগণিত; ফলে হিমুভক্তরা মনে করে হিমু’র স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাঁর মুখের ও শারীরিক গঠনের আদলে একটি ‘এ.আই’ বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট প্রকল্প তৈরী করা জরুরী। এ.আই প্রজেক্ট বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রকল্প হলো- যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে একটি একাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্র, যেখানে পড়ানো হবে কীভাবে বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করতে হয়। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয় যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মত ভাবতে পারে- তারই আলোকে রচিত সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবধারা’র গল্প।
অনামিকা চৌধুরী; জন্ম- ২৫ জুলাই। পিতামৃত- শেখ মোঃ খাইরুল ইসলাম খান, মাতা- রেজিনা খাতুন, জন্ম- পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানায়। তিনি ছোটবেলা থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করে আসছেন। আবৃত্তি, নাটক রচনা ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনাসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। ভালোবাসেন সৃজনশীল কর্মকা-ে যুক্ত থাকতে। বিখ্যাত, প্রখ্যাত খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকদের দেখেন শ্রদ্ধার সাথে। তাঁর সাহিত্যচর্চা গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। অত্যন্ত বিনয়ী এই কবি ও লেখিকাকে বলা হয় ‘মানবিক চেতনার কবি’, তিনি প্ল্যানচেট নিয়ে গবেষণা করছেনÑ তিনি ‘বাংলাদেশের একমাত্র প্ল্যানচেট লেখিকা’। মানবিক ও সামাজিক কর্মকা-: তিনি সমাজে সুস্থ মানুষদের যথাসাধ্য সাহায্য করে থাকেন। মানবতাবোধই তাঁকে প্রতিনিয়ত মানুষের সাহায্যে প্রলুব্ধ করে। তাঁর এই উৎকর্ষতা ও দীনতা সমাজের মানুষকে আকৃষ্ট করে, সমাজের কাঙ্খিত শৃঙ্খলায় তিনি সবিশেষ ভূমিকা রেখে থাকেন। পেশা: পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। সাহিত্য সংগঠন: তিনি ধ্রুপদী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ-ভারত সাহিত্য পরিষদ- এর সাহিত্য সম্পাদক, দেবীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক পদে যুক্ত আছেন।