বইটি রচনার ক্ষেত্রে অনেক তথ্য-উপাত্ত, পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং বইটির মুখবন্ধ লিখে দিয়ে বইটি সমৃদ্ধ করেছেন আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক, পিএইচডি গবেষণার সুপারভাইজার, বিশিষ্ট ইতিহাস-গবেষক ও লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। এজন্য স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এছাড়া বইটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করে বইটির শ্রীবৃদ্ধি করেছেন শাহ্ মখদুম ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, 'জাতীয় নেতা শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান রিসার্চ ফাউন্ডেশন'- এর পরিচালক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা। এজন্য তাঁর প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা। এছাড়া বইটি লিখার ক্ষেত্রে যাঁরা আমাকে উৎসাহিত করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বর্তমানে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, নাচোল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরিফুল ইসলাম, বন্ধুবর অধ্যাপক ষষ্ঠীচন্দ্র শীল, কবি আশামণি প্রমুখের কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। নবরাগ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় মালেক ভাইয়ের আন্তরিকতা ও অনেক তাগাদার কারণে বইটি অমর একুশে বইমেলায় বের হলো এজন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা। সাথে সাথে ফোর ব্রাদার্স কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী
Title
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে এএইচএম কামারুজ্জামানের ভূমিকা
প্রাবন্ধিক, গবেষক ড. অজিত দাস ২০ ডিসেম্বর ১৯৬৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার কাশিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং আব্দুলপুর সরকারি কলেজের পাঠ শেষ করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯১ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ অনার্স, ১৯৯২ সালে এমএসএস, ১৯৯৯ সালে অধ্যাপক ড. আবুল ফজল হকের তত্তবধানে “বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি : অতীত ও বর্তমান” শীর্ষক শিরোনামে এমফিল এবং ২০০৪ সালে ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. আমিনুর রহমানের তত্তবধানে “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে কতিপয় নির্বাচিত বামপন্থী দলসমূহের সম্পর্ক (১৯৭২-১৯৯৬) : একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ” শীর্ষক শিরোনামে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি নাচোল ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রবন্ধ দিয়ে লেখালেখি জীবনের শুরু। এ পর্যন্ত লেখকের দেশি-বিদেশি জার্নাল ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ত্রিশটির মতো প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি মূলত বঙ্গবন্ধু পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের উপর কাজ করে আসছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলোÑ পার্বত্য শান্তিচুক্তি গঙ্গাচুক্তি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, বঙ্গজননী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মারকগ্রন্থ (সম্পাদিত), হৃদয়ে শেখ রাসেল (সম্পাদিত), শেখ রাসেল : কুঁড়িতেই ঝরে যাওয়া ফুল, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ কামাল, নিভৃতচারী এক মহাপ্রাণ শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধু : এই প্রজন্মের ভাবনা (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ (সম্পাদিত), শেখ হাসিনা রাজনীতিক রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্রচিন্তক, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (১৯৩৬-১৯৭১), বঙ্গবন্ধু কেন বাকশাল গঠন করেন ইত্যাদি। এসব গ্রন্থের মধ্যে ‘একুশে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ গ্রন্থটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি লাইব্রেরিতে সংরক্ষণের জন্য এবং ‘শেখ রাসেল : কুঁড়িতেই ঝরে যাওয়া ফুল’ গ্রন্থটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির (সেকায়েপ) জন্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। শুধু একজন লেখক হিসেবে নয় একজন সংগঠক হিসেবেও ড. দাস বেশ সুপরিচিত। তিনি গত ১৮ অক্টোবর, ২০০৯ শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে ঢাকাস্থ ওসমানী মিলনায়নে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু তরুণ লেখক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ রাসেল পাঠাগার ও কালচারাল সেন্টার-এর সভাপতি, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু তরুণ লেখক পরিষদের মুখপত্র বজ্রকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।