ঘুমোবার সময় সালভেদর ডালি এক অদ্ভুত কাজ করতেন- একটা ধাতব চাবি নিজের হাতে রাখতেন আর ঠিক তার নিচ বরাবর রাখতেন আরেকটি ধাতুর পাত্র৷ ঘুমে তলিয়ে গেলে হাত থেকে চাবিটা ওই পাত্রের ওপর পড়ে ভীষণ জোরে শব্দ করে উঠত আর তৎক্ষণাৎ জেগে যেতেন ডালি। আধো ঘুম আর আধো জাগরণের ঠিক মাঝামাঝিতে অর্থাৎ ঠিক যে মুহূর্ত থেকে স্বপ্নের খণ্ডচিত্রগুলো মূর্ত হতে শুরু করত- ওই সময় ডালি তার পেইন্টিঙের থিম খুঁজে পেতেন। তার পরাবাস্তব ক্যানভাস তাই আমরা বাস্তববাদীরা সবটা বুঝে উঠতে পারি না। ১৯৩১ সালে আঁকা তার বিখ্যাত ‘দ্যা পারসিস্টেন্স অফ মেমরি’র আদলে করা হয়েছে ‘তেরো ঘর এক উঠোন’ দ্বিতীয় কিস্তির প্রচ্ছদ। ওই সময় থিউরি অফ রিলেটিভিটি প্রাণ পেয়েছে। সময় আর স্থান তখন আর স্থির কিছু নয়। আর তাই ডালির পেইন্টিঙে সময়ের চিত্র ধরা দিয়েছে অন্য মাত্রায়। আমরা যখন কোনো গল্প পড়ি- আমাদের ঘিরে যে অনুভূতির আবহ তার অনেকটা ধারণ করি আমরা, আমাদের স্মৃতি তার সবটা সাজিয়ে নেয় অনুভূতির স্পর্শে। সেখানে অনুভূতিই সব- সময়ের চক্র বাধা পড়ে। অনুভূতির সাথে সময়ের এমন সম্পর্ক প্রচ্ছদশিল্পী এত সুন্দর করে তুলে আনবেন সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। ‘ত্রিস্-কাই-দেকা-ফোবিয়া’ মানে তেরো সংখ্যাভীতি। আমার ক্ষেত্রে ওটা মুগ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। এই মোহ থেকে বের হতে পারছি না। সব মোহ থেকে কি মুক্তি মেলে নাকি আমরা মুক্তি চাই?
লেখালেখিটা শখের বশে শুরু। তারপর এই শখ কীবোর্ডের ছোঁয়ায় পৌঁছে গেল পাঠকের কাছে অনলাইনে... পাঠকের উৎসাহে প্রকাশিত হল প্রথম উপন্যাস অভিনেতা। ছোটগল্পে নিয়মিত হলেও উপন্যাস হাতেখড়ি অভিনেতা দিয়ে। প্লটে অভিনবত্ব এবং লেখনশৈলীর ভিন্নতা মুগ্ধ করেছিল পাঠককে। দ্বিতীয় উপন্যাস মিস্ট্রি থ্রিলার চন্দ্রভুক একদম ভিন্ন জনরার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় পাঠককে। পাঠক এই লেখককে আপন করে নেয় ভালবেসে। লেখালেখির এই আলাপন চলুক-চলুক ভালবাসার বিনিময়।