আল্লামা ইকবাল দক্ষিণ এশিয়ার প্রফাউন্ড ফিলোসফার হিসেবে অধিক পরিচিত। ৯ই নভেম্বর ১৮৭৭ শিয়ালকোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল পরলোকগমন করেন। প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য আল্লামা ইকবালের দার্শনিকতার উপর যে বয়ান এসেছে, সেই বয়ান নিয়েই ‘দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল' গ্রন্থ । আধুনিক বিশ্বে আল্লামার চিন্তা কতটা প্রাসঙ্গিক সেই আলাপ পশ্চিমে যেমন হয়েছে তেমনি প্রাচ্যেও হয়েছে। এই গ্রন্থের বয়ান থেকে যা আপনার কাছে স্পষ্ট হবে; আল্লামার দার্শনিকতার জরুরত ও তাঁর প্রাসঙ্গিকতা । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের কবি, দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের আলাপ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলাপ নিয়ে এই গ্রন্থ । যাদের আলাপ এই গ্রন্থে রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আলী শরিয়তী, তারিক রামাদান, মুহাম্মদ আসাদ, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, মাওলানা মওদূদী, আবুল হাসান আলী নদভী, জওহরলাল নেহরু, রসেপ তাইয়েপ এরদোগান, এমরান খান, গোলাম মোস্তফা, ফররুখ আহমদ, এবনে গোলাম সামাদ, সঙ্খ ঘোষ, খুশবন্ত সিং, সৈয়দ আলী আহসান, আবদুল মওদুদ, সৈয়দ আবদুল মান্নান, আবদুল মান্নান তালিব, আবদুল্লাহ আল আহসান সহ আরো অনেকে। আল্লামা ইকবালের দর্শন ও দার্শনিকতা বুঝতে এই গ্রন্থ সহায়ক হবে বলে মনে করি। ইকবাল পাঠের দুয়ার হোক ‘দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল' গ্রন্থ।
কবির বিছানা থেকে টেবিল, পকেট থেকে মানিব্যাগ ছােট ছােট কাগজের টুকরাে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে যায়। কাগজ কলম বের করে দু’লাইন লিখে ফেলেন। ছােট বেলায় হাঁটতে হাঁটতে কাগজের টুকরাের সাথে পায়ের ধাক্কা লেগেছিল, সেই অনুভূতি আজ তাকে বেপরােয়া করে তুলেছে। ২০১৪ একুশে বই মেলায় “গণ দাবি ফাসির কাষ্ঠে” কাব্য গ্রন্থ দিয়ে পথচলা শুরু। তারপর “মােমের মূর্তি”, “শ্যামলিমার পায়ের আওয়াজ এবং “নীল ডায়েরির গল্প”। জন্ম ২৩ শে নভেম্বর। দীর্ঘ এক যুগ শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরিতে দেখেছি। ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, ও ধর্মতত্ত্বে তার প্রবল অনুরাগ। চিন্তা শক্তির ইবাদাত খানায় প্রত্যহ ধ্যানমগ্নরত। সৃষ্টিশীল মানুষের জীবন যেমন হয়, ধৈর্যের সাথে বেপরােয়া স্বভাব। শুধু সম্মুখে ছুটে চলা।