বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, ভূতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, কারিগরি বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, আইন, চলচ্চিত্র, সাংবাদিকতা, খেলাধুলা, চিকিৎসা, বিজ্ঞানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যাদের অন্তত একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সে—সব লেখকের খানিকটা পরিচিতি এ গ্রন্থে অন্তভুর্ক্ত করেছি। বাংলা বর্ণমালার ক্রম অনুযায়ি লেখকদের জীবন বৃত্তান্ত অত্র গ্রন্থে অন্তভুর্ক্ত করেছি। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়। উদুর্ এবং ফারসির বিশেষ চর্চা ঢাকার মুসলমান সমাজে লক্ষ করা যায়। ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পূর্বে ঢাকায় আরবি,‘ ফারসি ও উদুর্ পঁুথির যথেষ্ট প্রচলনের কথা জানা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত লায়লা—মজনু, পান্দেনামা, সিকান্দারনামা, গুলিস্তা ও বোস্তা, ইউসুফ—জুলেখা, দীওয়ান—ই—হাফিজ ইত্যাদি পাণ্ডুলিপি ঢাকা শহর এবং তার আশেপাশের অঞ্চল থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীতে অধিকাংশ পাণ্ডুলিপির লিখিতকাল জানা যায়। ঢাকার কয়েকজন অধিবাসীর নামও পঁুথির মালিক হিসেবে জানা গিয়েছে। ঢাকায় ‘কেতাবপট্টি’ চকবাজার ও তার আশেপাশের এলাকা জুড়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। পূর্ব বাংলায় মুসলমানি পঁুথির রচনা ও প্রকাশনার প্রধান কেন্দ্র এই চকবাজারের কেতাবপট্টি। ঢাকায় মুসলমানির পুথির ঐতিহ্য এই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। আহসান—মঞ্জিলের উর্দু ও ফারসি কবিদের বেশ কয়েকজনের নাম জানা যায়, তাদের অনেকের বই প্রকাশ না হলেও সে সময় লেখালেখি করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাদের কয়েকজনের নাম তুলে ধরছি— খাজা হায়দার জানশায়েক, খাজা আসাদুল্লাহ কাওকাব, খাজা আবদুল গাফফার আখতার, খাজা বেদার বখত, খাজা ইসমাইল, খাজা মমতাজ বখত, খাজা মোয়াজ্জেম, খাজা নুরুল্লাহ, খাজা মহিউদ্দীন, খাজা সেলিম, খাজা আবদুর রহিম লং, খাজা ইসমাইল। নবাব পরিবারের সদস্য ছাড়াও ঢাকাতে আরও যারা উদুর্—ফারসি কবি সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে আহমেদ হোসাইন, ওয়াফের, মির্জা গওহর আলী, মির্জা ফিরোজ আলী, মুনশী আবদুল নঈম, মীর উজির আলী, সৈয়দ আফজাল হোসাইন, সৈয়দ তাকী মোহাম্মদ (বুড্ডান)সহ আরো অনেকেই। এছাড়াও বাংলাভাষার লেখকদের মধ্যে রেডিওতে অনেক নাটক লিখে খ্যাতি অর্জন করেন নাজির আহমেদ, তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। যতটুকু জানা যায় রেডিওতে তিনি পঞ্চাশটির মতো নাটক লিখেছেন, কিন্তু তার নাটক ও অন্যান্য লেখা নিয়ে বই প্রকাশ হয়নি। এমন অনেকেই রয়েছেন। বর্তমানে ঢাকাইয়া লেখক অভিধানে মোট ১১৪জনের নাম স্থান পেয়েছে