হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। বিষয়টি যে শুধু হাসপাতাল প্রশাসক, চিকিৎসক এবং সেবিকাদের জানার বিষয় নয়, সাধারণ মানুষের জানার বিষয়ও। রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য যতো বেশি সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা যাবে, চিকিৎসা ও পরিচর্যার কাজটি ততই সফল হবে। আর তাই হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি সকল শ্রেণির মানুষের বারবার পঠিত ও পালনীয় হওয়া উচিৎ। আজকাল হাসপাতালের করিডোরে ময়লার স্তুপ থাকে, টয়লেট, ওয়ার্ড থেকে দুর্গন্ধ নাকে আসে। আমাদের দেশের ডাক্তারদের বড় ডিগ্রি ও আস্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, মানুষ তাদের ওপর ভরসা করে না । বিশ্বের সকল উন্নত দেশে হাসপাতাল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা চলছে। বই রচনা হচ্ছে। সেমিনার ওয়ার্কশপ হচ্ছে, প্রশিক্ষণ চলছে। অথচ আমরা চোখ-নাক-মুখ বন্ধ করে আছি। ‘হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ' গ্রন্থটি লেখকের দীর্ঘ দীর্ঘ অভিজ্ঞতাপ্রসূত এবং হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ওপর সাম্প্রতিক প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায়ের অনুকরণে প্রণীত। বইটি বাংলায় লেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যবহৃত শব্দগুলো বাংলায় পরিবর্তন করা হলেও কিছু শব্দ পরিবর্তন করা হয়নি। শব্দগুলো, ভবিষ্যতে বাংলায় পরিবর্তন না করা গেলে, তা বাংলা শব্দকোষে যুক্ত করা যেতে পারে। এ নতুন বিষয়টির সাম্প্রতিকতা বইটিকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তুলবে।
জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬, যশোরে। স্কুল জীবন (১৯৫৩-১৯৬৫) কলকাতায় পিতার চাকুরীসূত্রে, কলেজ জীবন (১৯৬৫-৬৯) যশোরে। স্নাতক পাশ করার পর মুক্তিযুদ্ধের কারণে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেননি। প্রায় এক দশক সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করার পর ১৯৮০ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষা, প্রশাসন, প্রকাশনা, সম্পাদনা, অনুবাদ, সমন্বয়, জনসংযোগ বিভিন্ন পেশায় ও দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘ ত্রিশ বছর। সিদ্দিক মাহমুদ অনুবাদকর্মে দেখিয়েছেন অসামান্য দক্ষতা। এ যাবত অনুবাদ করেছেন প্রায় তিন হাজার বাংলা কবিতা, প্রকাশিত হয়েছে পঁচাত্তরটি গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাগ্রন্থ, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, গল্পগ্রন্থ ও কবিতার বই।