প্রথম প্রকাশের ভূমিকা বাড়ী নির্মাণের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর প্রকাশিত প্রচুর বইপত্র রয়েছে। কিন্তু যার অধিকাংশই ইংরেজী ভাষায় লিখিত।ফলশ্রুতিতে ইমারত তৈরীতে মাঠ পর্যায় যারা জড়িত আছেন তাদের অধিকাংশই প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং বই থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের জন্যই এই বই। বাড়ীর মালিকেরা অধিকাংশই কারিগরী জ্ঞান সম্পন্ন নন। তাই উক্ত বিষয়টি মাথায় রেখে জটিল প্রকৌশলগত প্রযুক্তি ও সূক্ষ্ম গাণিতিক বিশ্লেষন পরিহার করা হয়েছে এ বইটিতে। বাড়ী নির্মাণে সাধারণ মানুষেরা ভুল হোক, শুদ্ধ হোক মিস্ত্রিদের কাজ থেকে লব্দ জ্ঞানিই অনুসরণ করে থাকেন। উক্ত সমস্যাকে প্রতিহত করার লক্ষ্যেই বাড়ী নির্মাণের উপর অতি সহজ সরল ভাবে লেখা একটি কারিগরী তথ্য সম্পন্ন এ বই। বাড়ী নির্মাণের কাগজপত্র প্রস্তুত, লোন, নির্মাণ সামগ্রী কেনা কাটার উপর সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে।নিজের এবং দেশের অনেক বরেণ্য প্রকৌশলীগণের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রচলিত প্রকৌশলের উপর লিখিত বই পুস্তুক থেকে কারিগরী তথ্য সংগৃহীত করে এ বইয়ে অতি সহজ সরলভাবে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যদি কোনো কারিগরী/তথ্যগত ভুল সঠিক সমাধানসহ জানালে বাধিত হব। আবাসন নির্মাণকারীদের এ বই বহুলাংশে স্বস্তি দেবে আশা করছি। একাজে আমার শ্রদ্ধেয় ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের গঠনমূলক পরামর্শ, সহযোগীতা ও উৎসাহ না পেলে তা সম্পন্ন করা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।বইয়ের সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও নিখূঁত টাইপিংয়ের জন্য আমার অফিস সহকারীদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল মোঃ আবদুল কাদির বি এস সি ইঞ্জিঃ(সিভিল), এফ আই ই বি ফেব্রুয়ারি ২০০৩ ঢাকা
দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা গত ফেব্রুয়ারি ২০০৩ এর বইমেলায় প্রথম বইট প্রকাশের পর পাঠকদের কাছ থেকে প্রচুর সাজেশন সম্বলিত সাড়া পেয়েছি। অনেক শ্রদ্ধেয় জ্ঞানী গুণীজন বইটিতে অনেক পরিবর্তন/পরিবর্ধন এবং সংযোজনের উপদেশ দিয়েছেন। তাছাড়া অনেক পাঠক বিশেষ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যা বইটিতে সংযোজন বাঞ্ছনীয় বলে মনে কবি। তাছাড়া বইটিতে রক্ষণাবক্ষেণ সম্পর্কে কিছু লিখা হয়নি য পাঠকের প্রচুর চাহিদা। এই বইটির প্রতি এত ব্যাপক সাড়া পড়বে তা ছিল আমার কল্পনাতীত। একটি বাড়ী নির্মাণের ইলেকট্রিক এবং ম্যাকানিক্যাল সাইড যা বিরাট ভূমিকা পালন করতে থাকে না সংযোজন করা হলো। বহু আধুনিক নির্মাণ সামগ্রী বর্তমানে বাজারে এসেছে এবং ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে তাও পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। সময় প্রকাশণীর জনাব ফরিদ আহমেদকে ধন্যবাদ না জানালে প্রথম প্রকাশের ভূমিকার ন্যায় অতৃপ্তি থেকে যাবে কারণ তাঁর ইচ্ছে এবং সহযোগিতা ছাড়া বইট ছাপার অক্ষরে প্রকাশ হতো কিনা সন্দেহ। আমারও টাইপিং এর জন্য আমার অফিস সহকারীর অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করছি। প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল মোঃ আবদুল কাদির বি এস সি ইঞ্জিঃ(সিভিল), এফ আই ই বি ফেব্রুয়ারি ২০০৩ ঢাকা
:- সূচিপত্র :-
প্রথম অধ্যায় *নির্মাণ পূর্ব কাজ দ্বিতীয় অধ্যায় *নির্মাণ সামগ্রী ও মিস্ত্রি নিয়োগ তৃতীয় অধ্যায় *তদারকি ও বাস্তবায়ন চতুর্থ অধ্যায় *বিদ্যুৎ, পাইপ এবং কাঠের কাজ পঞ্চম অধ্যায় *শেষ পর্যায়ের কাজ ষষ্ঠ অধ্যায় *শেষ কথা সপ্তম অধ্যায় *ইমারতের রক্ষণাবেক্ষণ অষ্টম অধ্যায় *ক্রোড়পত্র সমূহ
প্রকৌশলী মেজর জেনারেল মােঃ আব্দুল কাদির ৩১ মে ১৯৬০ সালে। ময়মনসিংহে শীকারী কান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে s.s.c: ও ১৯৭৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে H.S.C পাস করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে। BUET থেকে পুরকৌশল বিভািগে ডিগ্রী লাভ করেন এবং ঐ বৎসরই প্রথম। রেগুলার ইঞ্জিনিয়ার্স কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে যােগদান করেন। কমিশন প্রাপ্তির পর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের। অফিসার হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন পদে চাকুরী ছাড়াও একটি সেনানিবাসের গ্যারিসন ইঞ্জিনিয়ার ও পরবর্তীতে কতগুলাে সেনানিবাসের পূর্ত। সংশ্লিষ্ট কমান্ডার এমইএস হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন। করেন। তাছাড়াও তিনি মিলিটারী ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের বিভিন্ন পদে (পূর্ত, ডিজাইন এবং বাজেট) দীর্ঘদিন নিয়ােজিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে একটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন কর্তক যমুনা নীদতে গ্রোয়েজ নির্মাণ কালে তিনি প্রত্যক্ষভাবে উক্ত কাজে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি সােমালিয়ায় ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ মিশন (ইউনােসােম-২) এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন। (ব্যানবাট) এর সাথে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার হিসেবে বিভিন্ন পূর্ত কর্মে নিয়ােজিত ছিলেন। তিনি দেশে বিদেশে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে চীন দেশে ‘মেইনটেন্যান্স রিবন ব্রীজ, টি-৭১এ', কন্ট্রাক্ট কমপ্লায়েন্স এন্ড মনিটরিং' ইউ এস এ, কন্ট্রোল অব প্রজেক্ট ডেলিভারি’- ইতালীতে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি । বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এর অধীনে একাডেমী ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এ পি ডি) হতে। ‘ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং' এর পােস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বাংলাদেশ রাইফেলস এ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব ছাড়াও বিভিন্ন নির্মাণ কাজের সাথে তিনি সংযুক্ত ছিলেন। তিনি সেনাসদরে ইঞ্জিনিয়ার ইন। চীফের শাখায় পূর্ত পরিচালক এবং পরবর্তীতে পূর্ত পরিচালক এবং প্রধান প্রকৌশলী (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী)। হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে সেনা, নৌ ও বিমান পূর্ত কর্মসমূহ ছাড়াও মিলিটারী ইঞ্জিনিয়ারং সার্ভিসের। মাধ্যমে সম্পাদনকৃত বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের (ADP) পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের সাথে জড়িত। ছিলেন। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরীর কমান্ড্যান্ট এর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সেনাসদরে ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফের শাখায় ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।