জনগণের মুক্তির প্রশ্ন বইটি কেন কিনবেন, কি জন্য কিনবেন। এটি বাংলাদেশের জাতির সৃজন, মনন ও চেতন তাৎপর্যের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দিবে। ব্যক্তি হিসেবে আপনি সমৃদ্ধ হবেন। ব্যক্তি সমৃদ্ধ হওয়ার অর্থ জাতি সমৃদ্ধ হওয়া। তাই জনগণের মুক্তি প্রশ্ন বইটি আপনাদের সংগ্রহে রাখা জাতীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল ও সৃজনশীল প্রকাশনী সংস্থা ‘এডুসেন্ট্রিক’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘জনগণের মুক্তির প্রশ্ন’ নামক জনগুরুত্বপূণ ঐতিহাসিক এই গ্রন্থ। যেটি লিখেছেন এদেশের ত্রিকালদর্শী বুদ্ধিজীবী, দেশের শিক্ষকদের অভিভাবক জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নানা ধরনের বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু জনগণের মুক্তিকে সামনে এনে জনগণের জন্য এমন সাহসী বই কেউ লিখেছে কিনা আমাদের জানা নেই। ১৯০৫ থেকে ১৯৪৭ এই সময়কালের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা অর্জন ইত্যাদি এত গভীর ও জনসম্পৃক্তভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে বাংলা ভাষায় চিন্তার জগতে তার কোন তুলনা নেই। ইতিহাস, দর্শন, জাতীয়তার প্রশ্ন, সাম্প্রদায়িকতাসহ জাতীয় নেতৃত্বের চোরাবালি স্রোত, আন্তর্জাতিক বাস্তবতা, ঔপনিবেশিকতার যাতাকলে পিষ্ট জাতি, ভূখণ্ডে তিনি সাগর সেঁচে মুক্তা খুঁজে বের করার মত বের করেছেন। বইটি আপনার চেতনজগতকে সমৃদ্ধ করবে তেমনিভাবে অচেতন জগতকেও উসকে দেবে। আপনি এদেশের জাতীয় নেতেৃত্বের ভুলত্রুটি শনাক্ত করতে পারবেন। নিজেকে তৈরি করতে পারবেন। তাই বইটি কিনতে হবে। বইটি না কিনলে আপনি চিন্তার জগত থেকে ছিটকে পড়বেন। মনে করবনে- এডুসেন্ট্রিক প্রকাশন আপনাকে একটি চিন্তার সমৃদ্ধ জগত উপহার দিয়েছেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম. ১৯৩৬) পেশায় সাহিত্যের অধ্যাপক এবং অঙ্গীকারে লেখক। এই দুই সত্তার ভেতর হয়তো একটা দ্বন্দ্বও রয়েছে, তবে সেটা অবৈরী, মোটেই বৈরী স্বভাবের নয়। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক, অবসরগ্রহণের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রফেসর এমেরিটাস হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি শিক্ষা লাভ করেছেন রাজশাহী, কলকাতা, ঢাকা এবং ইংল্যান্ডের লীডস ও লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখার কাজের পাশাপাশি তিনি ‘নতুন দিগন্ত’ নামে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। তার গ্ৰন্থসংখ্যা আশির কাছাকাছি। তার অকালপ্রয়াত স্ত্রী ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরীও লিখতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।