সত্যিকারের দুর্ভাগ্য নিয়েই যেন জন্মেছিল অলিভার। জন্মের পরপরই সে তার মা’কে হারায়। হারিয়ে ফেলে তার সত্যিকারের পরিচয়। কেননা, যে হাসপাতালে তার অসুস্থ মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে, সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পথ থেকে কুড়িয়ে। কেউ তাকে চিনত না, জানত না। তাই তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেল তার শিশু পুত্রের নাম ও বংশ পরিচয়। এরপর শিশু অলিভার স্থান পেল এক এতিমখানায়। সেখানে একদল দামাল ছেলের সাথে অযত্নে, অবহেলায় বেড়ে উঠতে থাকে। অলিভারের বয়স যখন নয় বছর পূর্ণ হলো তখন তাকে নিয়ে আসা হলো এতিমখানার প্রধান কেন্দ্রে। কেন্দ্রের অন্যতম কর্মকর্তা মিঃ বাম্বল অলিভারের নাম রাখলেন- অলিভার টুইস্ট। এতিমখানায় পেট পুরে খেতে দেয়া হতো না, আধপেটা খেয়ে সে একেবারে কঙ্কালসার হয়ে গেল। একদিন আরেকটু খেতে চাইবার কারণে অলিভারকে মিঃ সোয়ারবেরী নামে এক কফিন ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেয়া হলো। মিসেস সোয়ারবেরী কিশোর অলিভারকে দেখে খুশি হতে পারলেন না। তাদের বাড়িতে তাকে কাজের ছেলে হিসেবে থাকতে হতো। সবার খাওয়া হলে যা বাঁচতো তাই তাকে খেতে হতো। শুতে হতো টেবিলের নিচে, আর পান থেকে চুন খোয়া গেলেই শুনতে হতো কটুকথা। মারধোর করা হতো। কয়েকদিনের মধ্যে অলিভারের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো, একদিন ভোরবেলা সেখান থেকে পালিয়ে পায়ে হেঁটে লন্ডন যাত্রা করলো। দীর্ঘ সাতদিন পায়ে হেঁটে একদিন সকালে ক্লান্ত, অবসন্ন ও ক্ষুধার্ত অলিভার লন্ডন শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছলো। সেখানে সে একটি দুষ্টু তরুণের পাল্লায় পড়ে। এই তরুণের নাম ডকিন্স। সে তাকে পকেটমার ও চোরদের আড্ডায় নিয়ে যায়। এখানে অলিভারের সাথে পরিচয় ঘটে দুষ্টুচক্রের সর্দার ফ্যাগিনের সাথে। প্রথমে অলিভার বুঝতে পারেনি যে সে অপরাধী চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সে বসে বসে লক্ষ্য করতো ফ্যাগিন বেশির ভাগ সময় তার শিষ্যদের পকেটমারের কৌশল শিখিয়ে থাকে। একদিন ‘ডজার’ ও চার্লিবেটস্ নামে দুই চোরের সাথে অলিভারকে বাইরে পাঠানো হলো। তারা যখন একটি বইরের দোকানের সামনে এক বৃদ্ধ ক্রেতার পকেট মারছিল তখন আতঙ্কে পালাতে গিয়ে নির্দোষ অলিভার ধরা পড়ে প্রহৃত হল এবং থানায় গেল। অলিভার নির্দোষ জেনে বৃদ্ধ ভদ্রলোক মিঃ ব্রাউন অলিভারকে নিজের বাড়ি নিয়ে গেলেন পোষ্য-পুত্র রূপে পালনের উদ্দেশ্যে। দিনগুলো ভালই কাটছিল। কিন্তু এখানে দুর্ভাগ্য তার পিছু ছাড়লো না। একদিন কয়েকটি বই এবং ৫ পাউন্ডের একটি নোট হাতে নিয়ে অলিভারকে বইয়ের দোকানে পাঠানো হল। পথিমধ্যে ন্যান্সি নামের এক দুষ্টু মেয়ে ও বিল সাইক্স তাকে জোর করে ফ্যাগিনের কাছে নিয়ে গেল এবং সেখানে আটকে রাখলো। কিছুতেই সে অলিভারকে মুক্তি দিতে রাজী হলো না। এক রাতে বিল সাইক্স অলিভারকে নিয়ে টেমস্ নদীর তীরে এক বাড়ির সামনে গেল। চুরি করার উদ্দেশ্যে শীর্ণকায় অলিভারকে রান্নাঘরের ছোট জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিল। চুরির কোন ইচ্ছেই তার ছিল না। মনস্থির করেছিল বাড়ির মালিককে চোরদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবে। কিন্তু তার আগেই বাড়ির কাজের লোক তার উপস্থিতি টের পেয়ে অলিভারকে গুলি করে সাংঘাতিক জখম করে। বিল সাইক্স তাড়াতাড়ি করে অচেতন অলিভারকে জানালার বাইরে টেনে দৌড়ে পালাতে লাগলো। পেছনে মানুষের নাগালের বাইরে যেতে অর্ধমৃত অলিভারকে একটা মাঠে ফেলে পালিয়ে গেল।
Charles John Huffam Dickens (চার্লস ডিকেন্স , 7 February 1812 – 9 June 1870) was an English writer and social critic. He created some of the world's best-known fictional characters and is regarded as the greatest novelist of the Victorian era. His works enjoyed unprecedented popularity during his lifetime, and by the twentieth century critics and scholars had recognised him as a literary genius. His novels and short stories enjoy lasting popularity. Dickens was regarded as the literary colossus of his age.[9] His 1843 novella, A Christmas Carol, remains popular and continues to inspire adaptations in every artistic genre. Oliver Twist and Great Expectations are also frequently adapted, and, like many of his novels, evoke images of early Victorian London. His 1859 novel, A Tale of Two Cities, set in London and Paris, is his best-known work of historical fiction. Dickens's creative genius has been praised by fellow writers—from Leo Tolstoy to George Orwell and G. K. Chesterton—for its realism, comedy, prose style, unique characterisations, and social criticism. On the other hand, Oscar Wilde, Henry James, and Virginia Woolf complained of a lack of psychological depth, loose writing, and a vein of saccharine sentimentalism. The term Dickensian is used to describe something that is reminiscent of Dickens and his writings, such as poor social conditions or comically repulsive characters.