"স্বাধীনতার সন্ধানে" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: স্বাধীনতা শব্দটির ব্যাঞ্জনা বহুমাত্রিক এবং আবেগাশ্রয়ী। এই গ্রন্থে নিরাবেগ শানিত যুক্তি এবং বহু কৌণিক দৃষ্টিতে গ্রন্থেধৃত প্রবন্ধনিচয়ে তার স্বরূপ আন্বেষার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রবন্ধগুলােয় ২০০১ এর নভেম্বর থেকে ২০০৯এর জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কালকে ধারণ করা হয়েছে। সংকলিত প্রবন্ধগুলােতে বিষয়বস্তুর বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা অতিক্রান্ত সময়ের ঐতিহাসিকতা এবং নিকট ভবিষ্যতের উপযােগিতা বিশেষভাবে উপজীব্য হয়ে উঠেছে। বিষয় বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে প্রবন্ধগুলােকে সমাজচিন্তা, উন্নয়নভাবনা, বৈদেশিকী এবং রাজনীতি এই চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে প্রবন্ধগুলােকে কালানুক্রমে সাজানাে হয়েছে। এ কথা সত্য, চারভাগে বিভক্ত হলেও কোনাে প্রবন্ধের বিষয়বস্তুই ‘রাজনীতি’ বিমুক্ত নয়। সমাজ অর্থনীতি এমনকী বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়াবলিও কোনাে না কোনাে মাত্রায় রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এর মধ্যেও যে-সব ইস্যু একান্তই চলমান রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত সেগুলােকে আলাদা করে সাজানাে হয়েছে। সংকলিত ২৯টি প্রবন্ধে একটা অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও সুর, আশা করি, পাঠকের দৃষ্টি এড়াবে না। এই গ্রন্থটিতে আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ইতিহাসের একটি পর্বের আকর উপাদান ও মূল্যায়নকে ধারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতের গবেষক ও অনুসন্ধিৎসু পাঠককে এ সময়কালের অনুধাবনে তা সহায়ক হবে।
জন্ম : ১৭ এপ্রিল, ১৯৪৭। বিক্রমপুরের রাণীগাঁও গ্রামে। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী লেনিন লিখেছেন কম। সম্প্রতি নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও সাময়িকীতে। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আগামীর অন্বেষা', 'ব্রাত্যজন কথা’, ‘স্বাধীনতা ও উত্তরকাল', ‘সর্বব্যাপী বঙ্গবন্ধু’, ‘সমুখে শান্তি পারাবার’, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রতিবাদের প্রথম বছর’, ‘স্বাধীনতার সন্ধানে, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির স্বপ্ন', এবং মৌলবাদ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা'। এছাড়া একটি কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্ন করপুটে। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের ভেতর রয়েছে ‘তেভাগা সগ্রাম’, ‘একবিংশ শতকে অভিযাত্রা’, ‘জুম পাহাড়ে শান্তির ঝরনাধারা’, ‘আওয়ামী লীগের গৌরবের OG 769', 'Valle of Death', 'Fanatic Extremism in Bangladesh', তেভাগার কথা ও বাংলার কৃষক আন্দোলন এবং দুঃশাসনের চার বছর : সংকট ও উত্তরণের পথ’ প্রভৃতি। সমাজ-অর্থনীতি-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক মননশীল সাময়িকী ‘পথরেখা’ ও প্রকাশিত হচ্ছে তাঁরই সম্পাদনায়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক লেনিন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং নেতৃস্থানীয় কমিউনিস্ট হিসেবে বামপন্থি। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।