গ্রন্থ পরিচিতি কমরেড রেবতী মোহন বর্মণ জীবন ও কর্ম গ্রন্থে তাঁর জীবনীচুম্বক, গ্রন্থপন্জী এবং বিদগ্ধজনের আলোচনা রয়েছে। কমরেড রেবতী মোহন বর্মণ এক অবিস্মরণীয় কমিউনিস্ট নেতা। তিনি মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মার্কসীয় সাহিত্য রচনা করেছিলেন যার সবগুলিই ছিল সমাজতন্ত্রের পথে সংগ্রামের উদ্দেশে চিন্তার স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে। তাঁর গ্রন্থগুলি আজও আমাদের চিন্তা স্পষ্টীকরণে সহায়তা করে। বর্তমান গ্রন্থে কমরেড রেবতী মোহন বর্মণের জীবন ও কর্ম নিয়ে অনেক প্রতিনিধি স্থানীয় ব্যক্তির রচনাসহ অন্যান্য রচনা সংকলিত হয়েছে। এসব রচনা তাঁকে, তাঁর কর্ম ও সময়কালকে জানতে সহায়ক হবে। সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ১৯৫৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার শিমুলকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মকবুল হোসেন, মাতা মরহুমা আমেনা খাতুন। ১৯৭৩ সালে ভৈরবের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে লোকপ্রশাসনে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৮৩ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে সুচারুরূপে দায়িত্বশীল পদে চাকুরি করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে ১৭১ কিশোরগঞ্জ ৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূইয়ার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করেন। তাঁর চারটি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। সর্বশেষ গ্রন্থ সভ্যতার পথ ও পাথেয়। বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-রাজনীতি বিষয়ে অধ্যয়ন-গবেষণার পাশাপাশি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের আটাশ দফা কর্মসূচির আলোকে নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ এলাকায় ২০০৮ সালে গড়ে তুলেছেন রেবতী বর্মণ স্মৃতি সংসদ। ২০১০ সালে গড়েছেন বাংলাদেশ ‘জাগরণী শান্তিসংঘ’ নামক একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসাধনার মূলে রয়েছে বাঙালি, বাংলাদেশ Ñ সর্বোপরি বিশ্বজনীন মানবতা।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ১৯৫৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার শিমুলকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মকবুল হোসেন, মাতা মরহুমা আমেনা খাতুন । ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, ভৈরব থেকে তিনি এস এস সি, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৮৩ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পদক এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বশীল পদে চাকুরি করেন। চাকুরি ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে ১৭১ কিশোরগঞ্জ-৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) নির্বাচনী এলাকা থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকে পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করেন। তাঁর চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । বিদ্যমান অসুস্থ রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। বর্তমানে তিনি দেশের প্রখ্যাত সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তক আটাশ দফা কর্মসূচির প্রণেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহম্মদ শরীফ চেয়ার অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সঙ্গে কাজ করছেন। নিজ এলাকা নির্বিশেষে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রাজনীতি বিষয়ে অধ্যয়ন-গবেষণার পাশাপাশি আটাশ দফা কর্মসূচির আলোকে নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ এলাকায় তিনি ২০০৮ সালে গড়ে তুলেছেন রেবতীবর্মণ স্মৃতি সংসদ এবং ২০১০ সালে গড়ে তুলেছেন "বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্গ' নামক একটি সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাঁর চিন্তা ও কর্মের সাধনার মূলে রয়েছে বাঙালি, বাংলাদেশ এবং সর্বোপরি বিশ্বজনীন মানবতা।