গ্রন্থ পরিচিতি ১৮৩৯ সালে ভূতাত্ত্বিক ও খনিজ গবেষণা শেষে মিস্টার জেওরলিং নিজ দেশ আমেরিকায় ফিরে যাবার উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত কেরগুলেন দ্বীপপুঞ্জ থেকে কার্গো জাহাজ ‘হালব্রেন’-এ যাত্রা করেন। এর ক্যাপ্টেন লেন গাই এগারো বছর আগে নেটিভদের আক্রমণে ধ্বংস হওয়া জাহাজ ‘জেন’-এ থাকা তার ভাই নিখোঁজ উইলিয়াম গাই ও নাবিকদের খোঁজ করছেন। জেওরলিং এই গল্প ক্যাপ্টেনের কল্পনা হিসাবে ভাবলেও ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন একটা আইসবার্গে জেনের অফিসারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। জানা যায় জেনের ক্যাপ্টেন উইলিয়াম গাই এবং কিছু নাবিক দক্ষিণে সালাল দ্বীপে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় জেওরলিং ক্যাপ্টেন লেন গাইকে তার ভাইকে খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেন। তিনি সহ জাহাজ সেই দ্বীপে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, সালাল দ্বীপ ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে। আবার যাত্রা শুরু হলে ‘হালব্রেন’ ডুবে যায়। একটা ভাসমান আইসবার্গে অবস্থান নিয়ে দক্ষিণের একটা দ্বীপে আশ্রয় পায়। ফকল্যান্ড থেকে যুক্ত নাবিকরা বিদ্রোহ করে একমাত্র নৌকা নিয়ে পালিয়ে গেলে ওরা বিপদে পড়ে। এদিকে মেরুর কঠিন শীত এগিয়ে আসছে। ওরা কি পারবে সব বিপদ অতিক্রম করে সমস্যা সমাধানের পর নিরাপদে ফিরে আসতে? এন্টার্কটিক রহস্য জুল ভার্নের আরেকটা সমুদ্রের গল্প যা মানুষের কল্পনাকে ছাড়িয়ে গেছে। জুল ভার্নের এন এন্টার্কটিক মিস্ট্র্রি এন্টার্কটিক রহস্য কামরুল হুদা কামরুল হুদা, ডাক নাম বাদল। জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭, ঢাকা। পিতা মরহুম আবু মোঃ জাকির হুসেন, মাতা মরহুম নাজমুল লায়েল খানম। আট ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। পড়াশুনা তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুল, ঢাকা। সরকারী তিতুমীর কলেজ, ঢাকা এবং স্নাতক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যাংকার, ৩৫ বছর চাকুরী শেষে বর্তমানে অবসর জীবন। স্ত্রী দিলরুবা সুলতানা সহপাঠী ও ব্যাংকার, অবসর জীবন। ছেলে অধিপ খাইরুল বাশার কানাডা প্রবাসী, নাতি আহিল। মেয়ে অর্চি ফারহানা হুদা ফার্মাসিস্ট ও চাকুরিজীবি, দুই নাতি আফফান ও মুসাব। ১৯৭২ থেকে লেখালেখি শুরু। মূলত শিশু কিশোরদের জন্য লেখা। ছড়া, কবিতা, গল্প, কল্প বিজ্ঞান এবং প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকার ছোটদের পাতা ও সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে। ১৯৮১ সালে জুল ভার্ন এর দি মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড এর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ ‘রহস্যময় দ্বীপ’ বাংলা একাডেমী থেকে এবং ২০২১ এ এই বইয়ের বর্ধিত সংস্করণ সহ ভিন্নধর্মী কবিতার বই ‘ঘোড়া ও গাধা’ প্রকাশিত হয় বাঙ্গালা গবেষণা থেকে। এছাড়া জুল ভার্নের টুয়েন্টি থাউজেন্ড লীগস আন্ডার দা সি এর অনুবাদ ‘অতল সমুদ্রে’, একই লেখকের দি চিলড্রেন অফ ক্যাপ্টেন গ্রান্ট এর অনুবাদ ‘জাহাজডুবির খোঁজে’, দি অ্যাডভেঞ্চারস অফ ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস এর অনুবাদ ‘উত্তর মেরুতে ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস’, এন এন্টার্কটিক মিস্ট্রি এর অনুবাদ ‘এন্টার্কটিক রহস্য’ এবং দি ফার কান্ট্রি বইয়ের অনুবাদ ‘পশমের দেশে’ Ñ সবগুলি বাঙ্গালা গবেষণা থেকে প্রকাশিত। এর বাইরে দ্বিতীয় বাংলাদেশ জাতীয় ডাকটিকেট প্রদর্শনী ১৯৯২ এ বাংলাদেশ বিভাগে ‘ইনসেনটিভ’পুরস্কারপ্রাপ্ত।