নীতিবিদ্যা বিষয়ক এই গ্রন্থটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ‘সমকালীন নীতিবিদ্যা’ কোর্সেও পাঠ্যসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। গ্রন্থটি মোট সাতটি অধ্যায়ে সমকালীন নীতিবিদ্যা কী? সমকালীন নীতিবিদ্যা কীভাবে আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যা থেকে পরানীতিবিদ্যার পার্থক্যকে স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি সমকালীন নীতিদর্শনের একটি সুস্পষ্ট স্বরূপ উপস্থাপিত হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় বিশেষত্বের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় অধ্যায়ে সমকালীন প্রকৃতিবাদের গতিপ্রকৃতি আলোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে প্রকৃতিবাদবিরোধী ধারা হিসেবে পরিচিত অপ্রকৃতিবাদী নৈতিক তত্ত্বেও বিশদ আলোচনা স্থান পেয়েছে। এই আলোচনায় অপ্রকৃতিবাদী হিসেবে পরিচিত ম্যূও, রস, প্রিচার্ড, ক্যারিট, ব্রেনেটনো প্রমুখের নীতিদর্শন গুরুত্ব পেয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে অজ্ঞানজবাদের অপেক্ষাকৃত সঙ্গতিপূর্ণ মতবাদ হিসেবে আবেগবাদ আলোচনা করা হয়েছে। এতে বার্ট্রান্ড রাসেল, যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদ ও সি. এল. স্টিভেনসনের আলোচনা স্থান পেয়েছে। ষষ্ঠ অধ্যায়টি সমকালীন নীতিবিদ্যার প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ে আর. এম. হেয়ার, নোয়েল স্মিথ, স্টিফেন টোলমিন প্রমুখের আলোচনা স্থান পেয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে সমকালীন নীতিদর্শনে জিইয়ে থাকা দীর্ঘদিনের ‘হয়-উচিত’ সম্পকির্ত বিতর্কের নাতিদীর্ঘ পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রন্থটিতে সমকালীন নীতিদর্শনের ধারানুক্রমিক বিস্তৃত পর্যালোচনা নীতিদর্শনের বাংলা ভাষাভাষী পাঠককে কিছুটা হলেও তৃপ্তি দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।