সামাজিক গতিবিদ্যার মূলচাবি মার্ক্স খুঁজে পেয়েছেন সম্পদে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড অনুসন্ধান করেছেন যৌনতায়, বার্ট্রান্ড রাসেল অনায়াসে এবং বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এটা আবিষ্কার করেছেন ক্ষমতায়। এই বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ সালে তখনই সবাই উপলব্ধি করেছেন যে সরকার সম্পর্কিত যে সুপ্রাচীন সমস্যা বিদ্যমান তা পুনরায় বুঝতে হলে এটি পড়া দরকার। লেখক বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন ক্ষমতা কি কি রূপ ধারণ করে সাধারণের নজর কাড়তে পারে, এর বিভিন্ন অঙ্গের সীমাবদ্ধতা এবং মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাখ্যা করেছেন আর বলেছেন ক্ষমতা বশীকরণের জন্য কেমন আদর্শ এবং নৈতিক বিধি কার্যকর হতে পারে। সবশেষে তিনি জোর দিয়েছেন এই উপলব্ধির উপর যে আজকের দিনে ক্ষমতা বশীকরণের বিকল্প থাকতে পারে না। কারণ ‘বিজ্ঞান অনিবার্য করে তুলেছে যে আমরা সবাই বাঁচবো, অথবা সবাই মরবো।’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে হ্যারল্ড নিকলসন লিখেছিলেন, সকল চরমপন্থা সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার জন্য আমাদের সকলের এ বইটি পড়া দরকার। রাজনৈতিক তত্ত্ব বিষয়ে যারা হতাশার গহন আঁধারে দিশাহীন তারাও এটি পড়ে আশার আলো দেখতে পাবেন। b’ক্ষমতা' বইয়ের সূচিপত্রbr/b অধ্যায় ১ ক্ষমতার প্রতি অনুভূতি..........১১ br অধ্যায় ২ নেতৃবৃন্দ ও অনুসারিগণ ..........১৬ br অধ্যায় ৩ ক্ষমতার বিভিন্ন রূপ.......... ২৭ br অধ্যায় ৪ যাজকীয় ক্ষমতা ..........৩৬ br অধ্যায় ৫ রাজকীয় ক্ষমতা ..........৫০ br অধ্যায় ৬ নগ্ন ক্ষমতা.......... ৫৫ br অধ্যায় ৭ বৈপ্লবিক ক্ষমতা ..........৬৯ br অধ্যায় ৮ অর্থনৈতিক ক্ষমতা ..........৭৮ br অধ্যায় ৯ ক্ষমতা ও অভিমত ..........৮৮ br অধ্যায় ১০ ক্ষমতার উৎস হিশেবে নীতিসর্বস্ব মতবাদ ..........৯৩ br অধ্যায় ১১ সংগঠনসমূহের জৈবিক পরিচয় ..........১০০ b’ক্ষমতা' বইয়ের সূচিপত্রbr/b অধ্যায় ১ ক্ষমতার প্রতি অনুভূতি..........১১ br অধ্যায় ২ নেতৃবৃন্দ ও অনুসারিগণ ..........১৬ br অধ্যায় ৩ ক্ষমতার বিভিন্ন রূপ.......... ২৭ br অধ্যায় ৪ যাজকীয় ক্ষমতা ..........৩৬ br অধ্যায় ৫ রাজকীয় ক্ষমতা ..........৫০ br অধ্যায় ৬ নগ্ন ক্ষমতা.......... ৫৫ br অধ্যায় ৭ বৈপ্লবিক ক্ষমতা ..........৬৯ br অধ্যায় ৮ অর্থনৈতিক ক্ষমতা ..........৭৮ br অধ্যায় ৯ ক্ষমতা ও অভিমত ..........৮৮ br অধ্যায় ১০ ক্ষমতার উৎস হিশেবে নীতিসর্বস্ব মতবাদ ..........৯৩ br অধ্যায় ১১ সংগঠনসমূহের জৈবিক পরিচয় ..........১০০
আরশাদ আজিজের জন্ম ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায়। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল সাদত কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। আরশাদ আজিজ মূলত প্রাবন্ধিক। তিনি এক সময় কিছু ভালাে গল্প ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর প্রবন্ধ নিজস্ব মুদ্রায় চিহ্নিত। তাঁর প্রথম প্রবন্ধ সংকলন ‘মন্ত্রতন্ত্র কাব্য’ বিদগ্ধ পাঠকসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁর কিশােরপাঠ্য গ্রন্থ দর্শনের গল্প’ (১৯৭৬) ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আরশাদ আজিজ এদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত অনুবাদক। তাঁর প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ : আলেস্যের জয়গান (১৯৯৪), দুই বিশ্বযুদ্ধের অন্তর্বর্তীকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (দ্বি, স. ১৯৯৯), শিক্ষা ও। সমাজকাঠামাে (১৯৯৭), বিবাহ ও নৈতিকতা (১৯৯৮), লর্ড মেকলে নির্বাচিত রচনা। (২০০১), মধ্যযুগীয় ভারতের ইতিহাস (২০০৩), ইউরােপের ইতিহাস (তিন খণ্ডে প্রকাশিত। যথাক্রমে ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮ সালে) এবং। কুটনীতিবিদ্যা (২০০৯) |