মি. গ্র্যাব্রিয়েল জন আটারসন পেশায় একজন আইনজীবী। তুখোড় আইনজীবী হিসেবে শহরে খ্যাতি রয়েছে তার। তবে মানুষ তিনি বড়ই অদ্ভুত। বয়সে প্রৌঢ়। যেমন গম্ভীর তেমনি কট্টর বাস্তববাদী। কথা বলেন কম। হাসেন কদাচিৎ। কখনো গায়ে পড়ে কারো সাথে মেলামেশা করেন না। তার নীরস নিরুত্তাপ চেহারা দেখে কী যে তার ভালো লাগে আর কী যে তার ভালো লাগে না। থিয়েটার নাকি তার পছন্দ। কিন্তু গেল কুড়ি বছরে তিনি কোনো থিয়েটারের দরজা মাড়িয়েছেন কি না সন্দেহ। রাস্তার পুব দিকের শেষ মাথায় একটা দোতলা বাড়ি। যেন ঝুঁকে দাড়িয়ে রয়েছে রাস্তার ওপর। রঙহীন ফ্যাকাসে দেয়াল। অনেক দিন ধরে যত্ন নেয় নি কেউ। পলস্তারা খসে পড়েছে। ইটগুলো যেন দাত বের করে পৈশাচিক হাসি হাসছে। নিচ তলায় ভাঙাচোরা একটা দরজা। তাতে না আছে বেল, না কড়া। মনে হয় গত এক যুগেও বুঝি কেউ খোলে নি দরজাটা। সিঁড়িতে পাড়ার ছেলেরা খেলার জিনিস জড়ো করে রেখেছে। দরজার বিবর্ণ পাল্লায় কে যেন ছুরি দিয়ে কেটে নিজের নাম খোদাই করার চেষ্টা করেছিল। বিশ্রী দাগের মতো এখনো রয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বাড়িটার সামনে এসে দাড়ালেন তারা। এনফিল্ড তার হাতের ছড়িটা তুলে বলল, ওই দরজাটা কখনো লক্ষ করেছেন, মি. আটারসন? মাথা ঝাঁকালেন মি. আটারসন। দরজাটা তিনি দেখেছেন। ‘বিচ্ছিরি একটা ঘটনার সাথে ওই দরজাটার স্মৃতি আমার। মগজের মধ্যে গেঁথে রয়েছে’, বলল এনফিল্ড।