নবতর প্রযুক্তিনির্ভর গণমাধ্যমের দাপটে পুরনো মাধ্যম টিকবে না- এমন শঙ্কা বা পূর্বাভাস সবসময়ই আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এমন শঙ্কা এতো সরলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে- এমন কোনো নজির এখন পর্যন্ত নেই। সাম্প্রতিক ভাবনা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই হতে যাচ্ছে সংবাদের শেষ ঠিকানা। পাশাপাশি ভাবতে হচ্ছে, সাংবাদিকতার জগতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য প্রভাব কেমন হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটেই গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সমাজ নিয়ে আগ্রহীদের জন্যে ‘ফুড ফর থট’ গণমাধ্যমের ভূত-ভবিষ্যৎ। সম্ভাব্য ‘সংবাদমাধ্যম’ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার উপযুক্ততা কতোখানি? সোশ্যাল মিডিয়া কি সত্যকে লালন বা ধারণ করতে পারে? এই ‘সত্যের’ মাপকাঠি বা যথার্থতাই বা কী? সংবাদ ও সাংবাদিকতার নৈতিকতার বিষয়টি এখানে কে নিশ্চিত করবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ানো ‘তথ্য-সত্য-খবরের’ অথর বা অথরিটি কে? এর স্বচ্ছতা বা দায়বদ্ধতার জায়গাটিই বা কোথায়?- জরুরি এমন কিছু প্রশ্নের বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার যথার্থতা যাচাই করা হয়েছে বইটির বিভিন্ন লেখায়। এর পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বর্তমান ও সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এজন্যে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে প্রচলিত তত্ত্ব ও তথ্যের প্রেক্ষাপটে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে বাস্তবতার নিরীখে। এ ছাড়া বইটিতে স্থান পেয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ের আলোচনা।
সজীব সরকার বর্তমানে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি-এর জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন। এর আগে পড়িয়েছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ-এ। সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক সমকালসহ আরো অনেক গণমাধ্যমে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ ও জেলা স্কুল থেকে এইচএসসি ও এসএসসি। তাঁর লেখা অন্যান্য বই : এককভাবে : ১. নারী : অধিকার ক্ষমতায়ন ও বাস্তবতা (শ্রাবণ, ২০১৯) ২. সাংবাদিকতা : সহজ পাঠ (শ্রাবণ, ২০১৯) ৩. সংবাদ লেখা ও সম্পাদনা (গতিধারা, ২০১২) ৪. News Reporting, Writing and Editing (Gatidhara, 2012) যৌথভাবে : ১. হিজড়া শব্দকোষ (সময়, ২০১৯) ২. শিশু সাংবাদিকতার নীতিমালা (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস, ২০১৬) ৩. জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও প্রজননস্বাস্থ্য (বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ২০১৩) দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক জার্নালে ৩০টির বেশি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-সংবাদ বিশ্লেষণ লিখছেন। গণমাধ্যম সাক্ষরতা (মিডিয়া লিটারেসি) প্রসারে প্রতিষ্ঠা করেছেন মিডিয়াস্কুল (mediaschool.xyz)।