একাত্তর শহিদুল ইসলাম মিন্টু বিষয় : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দে উল্লসিত হওয়ার আগেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর বেদনায় আমাদের হৃদয়ে আরেক দফা রক্তক্ষরণ ঘটে। সেই সময়ের বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধন বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংসতম ও বর্বরোচিত ঘটনা। পাকিস্তানী সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদদে এক শ্রেণির দালালরা এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। বুদ্ধিজীবীদের অপরাদ ছিল তাঁরা তাঁদের লেখনি, সাহিত্যকর্ম, চিন্তা ও শিক্ষার মাধ্যমে বাঙালি জাতির মন ও মননে স্বাধীনতার আকৃতি জাগিয়ে তুলেছিলেন। পাকবাহিনীর দোসর আল বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনী বুজে ফেলেছিল তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই বাঙালি জাতি যেন কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার স্থায়ী ব্যবস্থা করতে এবং পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে শতাব্দির বর্বতম এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘ডেডলাইন একাত্তর’ শিরোনামে দৈনিক আজকের কাগজে এ লেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এরপর বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ। বইটি প্রথম প্রকাশিত ১৯৯৫ সালের একুশে বইমেলায়, তারপর ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১২ সালে নতুন আঙ্গিকে আবার প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালে পুনমুদ্রিত হয়। তাই বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমাদের পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে, নতুন প্রজন্ম জানতে চায় সেই রক্তমাখা ঐতিহাসিক দিনগুলোর কথা, সালাম জানায় সেই বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে এই সোনার বাংলা। পৃষ্ঠা : ১১২ মুদ্রণকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মূল্য : ১৬০ আইএসবিএন : ৯৮৪-৭০২৫৪-০০৫৫-৯
শহিদুল ইসলাম মিন্টু একাধারে সাংবাদিক, লেখক, নির্মাতা ও সংগঠক। কাজ করেছেন দৈনিক আজকের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকাসহ বাংলাদেশের প্রথমসারির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে। ঢাকার বিনােদন সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কালচারাল রিপাের্টাস এসােসিয়েশন ‘বিসিআর’ এর নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন একটানা চারবছর। বাংলাদেশের প্রথম বেটাফরমেটের ফিল্ম ‘দেবদাস’সহ অসংখ্য আলােচিত টিভি নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। ঢাকার জনপ্রিয় প্রযােজনা প্রতিষ্ঠান নান্দনিক টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক, বিসিআরএ এ্যাওয়ার্ড, ট্রাব এ্যাওয়ার্ড, চলচ্চিত্র দর্শক ফোরাম এ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার। লিখেছেন বেশ কিছু গ্রন্থ। ২০০৫ সালে স্বপরিবারে কানাডায় অভিবাসী হবার পর শহিদুল ইসলাম মিন্টু বিশ্বখ্যাত টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে ডিজিটাল ফিল্ম মেকিং এর উপর ডিপ্লোমা করেন। টরন্টোস্থ কানাডিয়ান স্ক্রিন ট্রেনিং সেন্টার সিএসটিসি থেকে ২০০৮ সালে কমপ্লিট করেন ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকিং কোর্স। ২০০৯ সালে টরন্টোর সেনেকা কলেজের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেনিং ইন জার্নালিজম কোর্স করেন। ২০০৮ সালের ১ জুলাই কানাডার টরন্টো থেকে প্রকাশ করেন নতুন ধারার অনলাইন বাংলা সাপ্তাহিক ‘বেঙ্গলি টাইমস', যা 'দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। বেঙ্গলি টাইমস এখন প্রবাসের সর্বাধিক পঠিত অনলাইন বাংলা পত্রিকা। কানাডিয়ান ইন্টারনেট রেজিস্ট্রেশন অথরিটি ও ন্যাশনাল এথনিক প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল অব কানাডার সদস্য শহিদুল ইসলাম মিন্টু। মুক্তিযুদ্ধ তার অতিপ্রিয় একটি বিষয়। ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী কাজ করার পরিকল্পনা তার রয়েছে।