বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড সিরিজের তৃতীয় কিস্তি ‘বিফোর ইয়োর মেমোরি ফেডস’ পাঠকদের নিয়ে যাবে ভিন্ন একটি ক্যাফেতে। এই ক্যাফেটাও তোকিতা পরিবারের মালিকানাধীন, যেখানকার বিশেষ এক চেয়ারে বসে কাস্টমারেরা ঘুরে আসতে পারে অতীত থেকে। এক কাপ কফি খাওয়ার মাঝে তাদের সাথে দেখা হয়ে যায় প্রিয় কোন বন্ধু বা পরিবারের লোকের সাথে। উত্তর জাপানের হাকোদেত পর্বতের গোড়ায় অবস্থিত ডন্না ডন্না ক্যাফে থেকে হাকোদেত বন্দরের চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। তবে শুধু এই নয়নাভিরাম দৃশ্যই নয়, টোকিওর ফানিকুলি ফানিকুলা ক্যাফের মতন ডন্না ডন্নাও কাস্টোমারদের সময় পরিভ্রমণের সুযোগ করে দেয়। পূর্ববর্তী দুই উপন্যাসের পরিচিত কিছু চরিত্রের পাশাপাশি পাঠকেরা নতুন সব চরিত্রের সাথে পরিচিত হবেন। আছে চমৎকার নতুন চার গল্প যেখানে এক কন্যা বাবা-মা’কে দোষারোপ করে তাকে একা করে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার জন্যে; একজন কমেডিয়ান প্রিয়তমা স্ত্রী’র মৃত্যু শোক এখনো ভুলতে পারেনি। এক বড় বোন মেনে নিতে পারেনি আদরের ছোট বোনের অকস্মাৎ মৃত্যু এবং এক তরুণ, যে দেরি করে বুঝতে পারে যে কাছের বান্ধবীর সাথে তার সম্পর্কটা বন্ধুত্বের চাইতেও বেশি। সময় পরিভ্রমণের নিয়মেও কোন পরিবর্তন আসেনি। ফিরে আসতে হবে কফি ঠান্ডা হবার পূর্বেই। বিফোর ইয়োর মেমোরি ফেডস কিছু চরিত্রের সাথে বসে কফি খাওয়ার আমন্ত্রন জানায় আবারও, যাদের গল্পগুলো উষ্ণ করে তুলবে আমাদের হৃদয়। তৃতীয়বারের মতন তোশিকাযু কাওয়াগুচি আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেন সেই প্রশ্ন- কিছু বদলাবে না জেনেও অতীতে ফিরে আপনি কি বদলে দিতে চাইতেন?