রাসূলুল্লাহ সা.-এর আহ্বানে আরবের ছোট্ট শহর মক্কা থেকে দ্বীন ইসলামের অভিযাত্রা শুরু হয়। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি নতুন সমাজব্যবস্থা। স্থাপিত হয় একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি। উন্মেষ ঘটে কল্যাণের ধারক এক মহান সভ্যতার। প্রায় বারোশত বছর পৃথিবীর এক বিশাল ভূখণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন ঘটে। ইসলামি সভ্যতা বিজয়ীর আসন থেকে অপসারিত হয়। ইসলামি সমাজব্যবস্থার সৌন্দর্য থেকে মানবতা বঞ্চিত হয়। এই বিশাল বিপর্যয় ও পতনের পরপরই পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলামের পুনর্জাগরণের আন্দোলনও সূচিত হয়ে যায়। ঠিক যেভাবে রাসূলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবিদের নেতৃত্বে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ও সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিল, তারই অনুসরণে ইসলামের পুনর্জাগরণের চেষ্টা শুরু হয়। মিশর থেকে সূচিত বৃহত্তর ইসলামি পুনর্জাগরণবাদী আন্দোলন ‘ইখওয়ানুল মুসলিমিন’ সেই পুনর্জাগরণ প্রচেষ্টার প্রধানতম সংগঠন। এই বইটিতে ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হাসান আল বান্না আলোচনা করেন ইখওয়ানের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি নিয়ে। তিনি বলেন, ইখওয়ানুল মুসলিমিন সবদিক থেকেই রাসূলুল্লাহ সা.-এর আদর্শ অনুসরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইখওয়ানুল মুসলিমিনি ঠিক সেই কাজগুলোই করতে চায়, যেগুলো করার জন্য রাসূলুল্লাহ সা.-এর নবুওয়তি জিন্দেগি ব্যয়িত হয়েছিল। ইখওয়ানুল মুসলিমিন চায় ইসলামি ব্যক্তিত্ব গঠন করতে; আদর্শ পরিবার গঠন করতে; সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে এবং সমৃদ্ধ ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েম করতে।