মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে। দুনিয়াতে বহু ধরণের ভাষা রয়েছে। আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা, ইংরেজি ভাষাসহ বিভিন্নজন বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে। তবে দুনিয়াতে যতো ভাষাই থাকুক না কেনো, আরবি ভাষা মান-মর্যাদায় সকল ভাষা অপেক্ষা উর্ধ্বে। কারণ কুরআন, হাদিস ও জান্নাতের ভাষা আরবি। তাছাড়া ইসলামি শরিয়তের যাবতীয় বিধানাবলি আরবি ভাষার ওপরই নির্ভরশীল। অতএব, সঙগত কারণেই আরবি ভাষার সাধারণ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ঈমানী দায়িত্ব। আর এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, কোনো ভাষাজ্ঞান অর্জন করতে হলে প্রথমে সে ভাষার ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অতীব জরুরি। সুতরাং আরবি ভাষা শিখতে হলে আরবি ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর আরবি ব্যাকরণের দু'টি শাখা ছ। যথা- এক. ইলমুছ ছরফ দুই. ইলমুন নাহু। তবে ইলমুছ ছরফ হলো আরবি ব্যাকরণের প্রথম শাখা। আর এ প্রথম শাখার জ্ঞান অর্জনের জন্য পাঠ্য পুস্তক হিসাবে প্রাথমিক ছাত্রদের জন্য মাদারেসে ক্বাওমিয়া ও আলিয়ার পাঠ্য তালিকায় ইলমুছ ছরফ সম্পর্কিয় ফারসি ভাষায় রচিত "মিযানুছ ছরফ" নামক কিতাবটি স্থান দখল করে আছে। মিযান কিতাবটি প্রাথমিক ছাত্রদের জন্য একটি ভিত্তিমূলক ও উপকারী কিতাব। সর্বোপরি কথা হলো কিতাবটি ছোটো হলেও তার সুনাম-সুখাতি আকাশচুম্বি। কিন্তু কিতাবটি ফারসি ভাষায় হওয়ার কারণে প্রাথমিক ছাত্ররা পরিপূর্ণ ফায়েদা অর্জন করতে পারে না। এজন্য তার উর্দু ও বাংলায় অনেক শরাহ বের হয়েছে। আর আমিও "তাসহীলুল মিযান" নামে এর একটি শরাহ রচনা করেছি, যা অন্যান্য শরাহ