“বাবা” ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর ব্যাপকতা অ-নে-ক! বাবা মানে বটবৃক্ষ, বাবা মানে নির্ভরতা, বাবা মানে অসীম সাহস, বাবা মানে সক্ষমতা । বাবা নামক পিলারে ভর করেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি পরিবার। বাবা সরে গেলেই পরিবারগুলো ধসে পড়ে তাসের ঘরের মতো। তাই আমাদের জীবনে বাবাদের গুরুত্ব অপরিসীম, তুলনাবিহীন। তবুও বাবারা থেকে যায় পর্দ ার আড়ালে, আলোচনার বাইরে। মাকে নিয়ে, প্রেয়সীকে নিয়ে, প্রিয় সন্তানদেরকে নিয়ে যত আয়োজন হয়, যত আদিখ্যেতা হয়, বাবাকে নিয়ে তার সিকিভাগও হয় কি? হয় না। বিষয়টা এমন নয় যে আমরা বাবাকে ভালোবাসি না। বাবার প্রতি আমাদের ভালোবাসার সীমা-পরিসীমা নেই, নেই শ্রদ্ধা-ভক্তির কমতিও। তবুও কেন জানি বাবার প্রতি সে ভালোবাসা প্রকাশ করতে আমাদের সংকোচ হয়, লজ্জাবোধ হয়। বাবার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা” কথাটি বলতে আমাদের এক জীবন চলে যায়, তবুও সাহস করে কখনো বাবাকে ভালোবাসার কথাটি জানানো হয় না। মুখ ফুটে বলা হয় না বাবার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তির কথা। লজ্জা, সংকোচ, ভয়, জড়তা আর দ্বিধাহীনতায় অব্যক্ত থেকে যায় হৃদয়ের কথামালা। একসময় বাবারা হারিয়ে য়ায়। মনের অভ্যক্ত কথামালা মনের কোটরেই গুমরে মরে । ১৬ জুন বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে প্রিয় বাংলা প্রকাশনের বিশেষ আয়োজন “বাবাকে লেখা চিঠি” সংকলন । ২৪০ পৃষ্ঠার এই সংকলনে মোট ১৩১ জন লেখকের চিঠি সংকলিত হয়েছে। বৈচিত্রপূর্ণ এই চিঠিগুলোতে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম, ভালোবাসা, অনুরাগ, অভিযোগ, স্মৃতিচারণ, হারানোর দহনসহ নানান বিষয় উঠে এসেছে। প্রকাশ পেয়েছে বাবাকে বলতে না পারা অসংখ্য অভ্যক্ত কথামালা। বাবা দিবসে বাবাদের জন্য অসাধারণ একটি উপহার হতে পারে এই বইটি। সাধারণ পাঠকদের জন্যও বইটি দারুণ সুখপাঠ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস। জগতের সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাই। জীবনে, মরণে - দুই ভুবনে বাবারা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক, এটাই আমার সর্ব শেষ কামনা। --- এস এম জসিম ভূঁইয়া, সম্পাদক