ফিকাহ শাস্ত্রের উৎস রাসুলে কারীম (সা.)-এর জীবদ্দশায় শরীয়তের আহকামের একমাত্র উৎস ও অবলম্বন ছিল কোরআন ও হাদিস। তবে যে সকল বিষয়ের কোনো দলীল বা প্রমাণ ছিল না সে সকল বিষয়ে রাসুলে কারীম (সা.)-এর মতের সাথে সাহাবায়ে কেরাম (র.)-এর মতও স্থান পেত। বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে বিভিন্ন দ্বীনি বিষয়ে হুযুর (সা.) পরামর্শ গ্রহণ করতেন বলে জানা যায়। ফিকাহবিদ সাহাবীগণ রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালের পর এবং ওহীর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কীয়তের মাসায়েল ও দ্বীন সম্পর্কিত বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের পরে সাহাবায়ে কেরামই ছিলেন প্রাণ কেন্দ্র। এ বিষয়ে ঐসকল সাহাবীর অভিমত ও পরামর্শ গৃহীত হত যাঁরা ছিলেন ইলম ও জ্ঞানের জগতে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে তাঁরাই শরয়ী মাসায়েলের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হতেন, যাঁরা কোরআন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানী ছিলেন। আর যারা রাসুল স.)-এর নিকট থেকে কোরআন শিখেছেন এবং এর মর্মার্থ বুঝেছেন এবং রহিত • অরহিত আয়াত সম্বন্ধে অবগত ছিলেন, তাঁরাই কুররা নামে ভূষিত হন। এ উপাধিটি আলেম ও গায়ের আলেমকে পার্থক্য করে দিত। সে সময় যাঁরা ফতোয়া এলন করতেন তাঁদের সংখ্যা প্রায় একশত ত্রিশ ছিল। এঁদের মধ্যে কিছু ছিলেন পুরুষ এবং কিছু ছিলেন মহিলা সাহাবী।